কলকাতা: দেশ জুড়ে শিল্পীরা ভয় পাচ্ছে। তাই তাঁরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। দীপঙ্কর দে, ভরত কল- সহ শিল্পীদের পাশে বসিয়ে এমনটাই বললেন ব্রাত্য বসু।
শুক্রবার ব্রাত্য বসুর হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন দীপঙ্কর দে, ভরত কল, ছোটপর্দার শিল্পী লাভলি মিত্র ও গায়িকা তথা রশিদ খানের মেয়ে শাওনা খান। ব্রাত্য বলেন, “শিল্পীরা বুঝতে পারছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার যা করছে, তার থেকে পরিত্রাণের উপায় একটাই, তার নাম মমতা বন্দোপাধ্যায়।”
সাম্প্রতিককালে এমন উদাহরণ আরও দেখা গিয়েছে তৃণমূলে। কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেন অভিনেতা সৌরভ দাস ও টলি অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এদিন শিল্পীদের যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কৃষক আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক স্তরের সেলেব্রিটিদের প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করেছেন ব্রাত্য।
দিল্লিতে ৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা বিক্ষোভের জেরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে আন্দোলনের আন্তর্জাতিক মুখ গ্রেটা থুনবার্গ। তাঁর নামে মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করার প্রেক্ষিতেই তাঁর নামে অপরাধমূলক চক্রান্ত ও ধর্মের ভিত্তিতে শত্রুতা প্রচারের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। মার্কিন পপ গায়িকা রিহানাও কৃষক আন্দোলন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া নিয়ে একটি সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন শেয়ার করেন। প্রশ্ন করেন, “আমরা এই বিষয়ে কথা বলছি না কেন?” সেই টুইট নিয়েও হয়েছে বিতর্ক।
ব্রাত্য় বসুর মতে, শিল্পীরা দেখছেন যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই কি হয়, তাই তাঁরা আতঙ্কিত। শাওনা খানের মতো শিল্পীদের পিছনে অনেকের লম্বা লাইন আছে বলেও মন্তব্য করেন ব্রাত্য। তিনি জানান, শাওনা শুধু গায়িকা নন, সামাজিক বহু কাজে অবদান আছে তাঁর।
সম্প্রতি বিজেপিও অনেক নতুন মুখ এনে চমক দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতারাও। সেই প্রসঙ্গ টেনে ব্রাত্য বলেন, “সবাই দিল্লি গিয়ে যোগ দিচ্ছেন। স্থানীয় নেতাদের হাত থেকে পতাকা তুলে নিচ্ছেন না। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে স্থানীয় নেতাদের গুরুত্ব নেই।”
এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দীপঙ্কর দে বলেন, “আমি বহুদিন ধরেই তৃণমূলের স্বপক্ষে আছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গভূষণ দুই সম্মানে সম্মানিত করেছেন। এছাড়া আমি যখন অসুস্থ হয়েছি তখন পরপর দু বার উনি আমাকে হাসপাতালে যেতে সাহায্য করেছেন, তাই আমি বেইমানি করতে পারব না।”