AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এক রাজ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কৃষক আন্দোলন: সংসদে কৃষিমন্ত্রী

এমএসপি বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে চিন্তিত দেশের কৃষকরা, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে শুরু করেছি। উৎপাদিত ফসলের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মূল্য দেওয়া হচ্ছে।"

এক রাজ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কৃষক আন্দোলন: সংসদে কৃষিমন্ত্রী
সংসদে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। ছবি:রাজ্যসভা টিভি
| Updated on: Feb 05, 2021 | 1:57 PM
Share

নয়া দিল্লি: গোটা দেশ, নির্দিষ্ট একটি রাজ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কৃষক আন্দোলন এবং আন্দোলনে উসকানিও দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের, শুক্রবার সংসদে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar)। বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল রাজ্যসভা। আজ কৃষিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার কৃষক কল্যাণের উদ্দেশ্যেই কাজ করছে।

৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই আলোচনার দাবিতে সরব হয়েছিল বিরোধীদলের সাংসদরা। এমনকি, অধিবেশনের প্রথমদিনই বিরোধীদের বিক্ষোভে স্থগিত হয়ে যায় প্রথমদিনের অধিবেশন। এরপর বিগত দুইদিন ধরেই রাজ্যসভায় কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা চলছে। আজ সকালে রাজ্যসভার অধিবেশনে যোগ দিতে যান কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। অধিবেশনে তিনি বলেন, “কৃষক সংগঠন ও বিরোধীদলগুলি তিনটি কৃষি আইনে একটিও খামতি দেখাতে পারেনি। আমরা কোনও অহংকার বা গর্ব করছি না। আমরা ক্রমাগত প্রশ্ন করেছি, এই আইনে কোথায় খামতি রয়েছে, তা বলুন। কিন্তু এখনও অবধি কেউই এগিয়ে আসেনি সেই খামতিগুলি দেখাতে।”

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক ব্যবহার করে বানানো যাবে না ভারতের পতাকা!

তিনি আরও বলেন, “আমরা ক্রমাগত এমজিএনআরইজিএ(MGNREGA)-র তহবিল বৃদ্ধি করছি। যখন দেশে করোনা সংক্রমণ আক্রমণ করে, সেই সময়ও এমজিএনআরইজিএ-র বরাদ্দ ৬১ হাজার কোটি টাকা থেকে ১.১৫ লাখ কোটি টাকা করা হয়। প্রায় ১০ কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করা হয়েছে এই কঠিন সময়ে। দেশের নিম্নবিত্ত ও গরীব মানুষের কথা ভেবেই সরকার যে নীতিগুলি এনেছে, তাতে গ্রামের মানুষেরা বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছে।”

এমএসপি বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে চিন্তিত দেশের কৃষকরা, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে শুরু করেছি। উৎপাদিত ফসলের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মূল্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আত্মনির্ভর প্যাকেজে কৃষি পরিকাঠামোয় এক লাখ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে যাতে নতুন বিনিয়োগ হয়, তার ক্রমাগত চেষ্টা করছে সরকার।”

কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমি স্পষ্টভাবেই জানিয়েছি সরকার আইনের সংশোধন করতে রাজি। তবে এর অর্থ এই নয় যে কৃষি আইনে কোনও খামতি রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের মানুষদেরই ভুল বোঝানো হয়েছে।” কৃষি আইনের উপকারিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করাই আমাদের লক্ষ্য। একইসঙ্গে জিডিপির বৃদ্ধিতে কৃষিক্ষেত্রেরও যাতে ভাগ থাকে, সেটিও আমাদের লক্ষ্য। তিনটি কৃষি আইন এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপেরই একটি অংশ। আমি সংসদের সদস্য ও কৃষকদের জানাতে চাই আমরা কৃষকদের মঙ্গলের উদ্দেশ্যেই কাজ করছি।”

আরও পড়ুন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণায় ঘি পড়ল শেয়ার বাজারে, উর্ধ্বমুখী সেনসেক্স-নিফটি সূচক