
দমদম: টোটো এবং ই-রিক্সার রেজিস্ট্রেশনের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা ধার্য করা হচ্ছে! সেই সঙ্গে চলছে পুলিশি হেনস্তা। এমন অভিযোগ তুলে পথে নামলেন টোটো চালক এবং ই-রিক্সা চালকরা। রবিবার সকালে দমদম ক্যান্টনমেন্ট হেলথ-এর মাঠে টোটো চালক এবং ই রিক্সা চালকদের বিক্ষোভ চলে। প্রচুর সংখ্যক টোটো এবং ই-রিকশা নিয়ে হাজির হন চালকরা।
এককালীন রেজিস্ট্রেশন ছাড়াও বিমা, পলিউশন, রিনিউয়াল, ট্যাক্স ইত্যাদি মিলিয়ে প্রতি বছর টোটো চালকদের একটি বেশ বড় অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে। দরিদ্র টোটো চালকদের পক্ষে তা বহন করা কার্যত অসম্ভব বলেই দাবি। চালকদের বক্তব্য, অর্থ প্রদান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নেই। তাঁরা পরিষ্কার করে বিষয়টি বুঝতে পারছেন না বলে অভিযোগ।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন দালাল ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা অভিযোগ করছেন, যে অঙ্কের টাকা তাঁরা দালালদের দিচ্ছেন, সেই অঙ্কের বিল তাঁরা পাচ্ছেন না। তাঁদের অভিযোগ মোটর ভেইকল (আরটিও) অফিসের বিরুদ্ধে। চালকদের দাবি, যাত্রী নিয়ে ভিআইপি রোড বা যশোর রোডে উঠলে অনেক সময় পুলিশ তাঁদের হেনস্তা করে। এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য তারা সরকারের উপর ভরসা রাখতে চান।
রাজ্য সরকারের নতুন টোটো রেজিস্ট্রেশন নীতির বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন টোটো চালকরা। গত শুক্রবার রাজগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের (সিআইটিইউ) কর্মীরা। বিডিও অফিস চত্বরে টানা স্লোগানে থমকে যায় প্রশাসনিক কাজ। আর সিটু- সেই মিছিলে ওইদিন সামিল হন আইএনটিটিইউসি-র সদস্যরাও।