CNG Bus: জ্বালানির জ্বালা ঘোচাতে বেসরকারি বাসেও সিএনজি কিটের পরিকল্পনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 12, 2021 | 1:19 AM

CNG: ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম। তার জেরে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি ঘিরে বার বার তৈরি হচ্ছে টানাপোড়েন।

CNG Bus: জ্বালানির জ্বালা ঘোচাতে বেসরকারি বাসেও সিএনজি কিটের পরিকল্পনা
গত অগস্টে পরীক্ষামূলক ভাবে চলে সিএনজি বাস। চালকের আসনে ছিলেন খোদ মন্ত্রী ফিরদাহ হাকিম।

Follow Us

কলকাতা: ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বার বার বিতণ্ডায় জড়াচ্ছে রাজ্য। পরিবহণ দফতর কিছুতেই ভাড়া বাড়াতে নারাজ। অন্যদিকে বাস মালিকদের দাবি, পেট্রোপণ্যের যা দাম তাতে ভাড়া না বাড়লে পথে গাড়ি নামানোই শক্ত। এর ফলে নিয়মিত বাস কমছে রাস্তায়। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। তাই এবার সিএনজির পথেই হাঁটতে চাইছে কলকাতা।

ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম। তার জেরে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবি ঘিরে বার বার তৈরি হচ্ছে টানাপোড়েন। সরকারি ভাবে বাস ভাড়া বাড়েনি। কিন্তু অনুদানের আড়ালে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সর্বত্র। কোথাও কোথাও এক ধাক্কায় দ্বিগুন বেড়েছে বাস ভাড়া। আমজনতার পকেট থেকে বাড়তি কড়ি খসলেও সরকারি ভাবে ভাড়া বাড়াতে নারাজ রাজ্য।

বাস মালিকদের দাবি উড়িয়ে তাই রাজ্যের সমাধানসূত্র সিএনজি। সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসেও সিএনজি পরিকাঠামো তৈরি করতে চায় পরিবহণ দফতর। এর জন্য বিশেষ প্রকল্পও তৈরি করা হয়েছে। বাস চালানোর খরচ কমে গেলে ভাড়া বাড়ানোর চাপও থাকবে না।

পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সিএনজি কিটে কতটা কী হবে, ব্যাঙ্ক লোন কী হবে, আমরা কতটা কী দিতে পারব এইসব নিয়ে আমরা একটা হোম ওয়ার্ক করছি। দফতরের সচিব করছেন।” কিন্তু সিএনজিতে চললে কতটা সাশ্রয় হবে?

পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারী গাড়ির ক্ষেত্রে খরচ প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যাবে। ডিজেল গাড়ির তুলনায় প্রতি কিলোমিটারে জ্বালানি খরচ অনেকটাই কমে যাবে। পাশাপাশি নিয়মিত মেরামতির খরচও বেশ কম।

সিএনজি কিট প্রদানকারী সংস্থার আধিকারিক ঈশান গুপ্তা জানালেন, “সিএনজির কারণে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কম হবে। খুবই সুরক্ষিত এটা। রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক কম।” ডিজেল চালিত বাস বিশেষ পদ্ধতিতে সিএনজিতে রূপান্তরিত করতে হয়। একটি বাসে চার সিলিন্ডারের সিএনজি পরিকাঠামো তৈরি করতে খরচ ৫ লক্ষ টাকা। তার সঙ্গে জিএসটির খরচ যুক্ত হবে।

এই রূপান্তরিত করার পরিকাঠামো পর্যাপ্ত বলেই জানালেন ঈশান গুপ্তা। তিনি বলেন, “আমরা তো করছি। আরও অনেকে আছেন যারা এই কনভার্টের কাজ করছেন।” সিএনজি নির্ভর গণপরিবহণে সায় রয়েছে বাস মালিকদেরও।

বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের নেতা টিটো সাহা বলেন, “সিএনজি হলে খুবই সুবিধা হবে। তবে গ্যাস স্টেশন বাড়াতে হবে। ২৫০টা ফুয়েল রিচার্জিং সেন্টার লাগবে। ১২০টা সেন্টার দিয়ে ট্রিপের মাঝে ফুয়েল চার্জ করে গাড়িটা রাস্তায় রাখা সম্ভব নয়।”

আপাতত গাড়ির মাধ্যমে বেঙ্গল গ্যাস নামে এক সংস্থা সিএনজির যোগান দিচ্ছে। বাস মালিকরা বলছেন, পাইপ লাইনের মাধ্যমে তা সরবরাহ হলে খরচ আরও কমবে। আপাতত দুর্গাপুর পর্যন্ত রয়েছে পাইপ লাইন। সেখান থেকে কল্যাণী হয়ে কলকাতা-হলদিয়া পর্যন্ত পাইপ লাইন আনার ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: পরীক্ষা কম, তবুও চড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ! রাজ্যে আক্রান্ত ৮৫৪

Next Article