TMC in Bhangar : সংখ্যালঘু ভোটে ধসের আশঙ্কা? ভাঙড়ে শওকত মোল্লাকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিল তৃণমূল
TMC in Bhangar : ভাঙড়েও সংখ্যালঘু ভোটে ধসের আশঙ্কা? ভোটে শওকত মোল্লার কাঁধে গুরু দায়িত্ব। বৈঠক বসল তৃণমূলের রাজ্য-সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতে।
কলকাতা : ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা দাদার ভক্ত’, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর নওশাদ জেল থেকে বেরোতেই কলকাতার রাজপথে শোনা গিয়েছিল এই স্লোগান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গ্রেফতারিতেই যেন শাপে বর হয়েছে নওশাদের (Naushad Siddiqui)। বেড়েছে জনপ্রিয়তা। তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বহু তাবড় তাবড় রাজনৈতিক নেতারা। তাই যেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে চিন্তা বাড়িয়েছে শাসক তৃণমূলের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাগরদিঘির (Sagardighi Election Results) প্রভাব যাতে ভাঙড়ে (Bhangar) না পড়ে তাই এখন থেকেই আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে চাইছে ঘাসফুল শিবির (Trinamool Congress)। প্রতি নির্বাচনেই যে সংখ্যালঘু ভোট প্রতিটা রাজনৈতিক দলের কাছে বড় ফ্যাক্টর হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ সামনে এসেছে। অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল নেতাদের। একই ছবি দেখা গিয়েছে ভাঙড়েও। বিশ্লেষকদের মতে আরাবুল-কাইজার কাজিয়ার ‘সুফল’ যাতে সিদ্দিকী শিবিরের হাতে না চলে যায় তা রুখতে তৎপর শাসকদল।
জোরকদমে চলছে কোন্দল মেটানোর চেষ্টা। বৈঠক বসল তৃণমূলের রাজ্য-সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতে। বৈঠকে বসল আরাবুল ইসলাম, কাইজাররা, শওকতরা। শওকত মোল্লাকে পঞ্চায়েত ভোটে করা হল ভাঙড়ের অবর্জারভার। প্রসঙ্গত, ভাঙড়ে সিংহভাগই সংখ্যালঘু ভোট। ভাঙরের রাজনৈতিক চালচিত্রের প্রভাব অনেকটাই পড়ে আশেপাশের সংখ্যালঘু এলাকা হাড়োয়া, বসিরহাট, মিনাখা সহ একাধিক জায়গায়। একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত থাকা ভাঙড়ের দখল শেষ বিধানসভা ভোটেই নিয়ে নিয়েছে আইএসএফ। বর্তমানে এলাকার সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে আনতে মুখিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সে কারণেই শওকত মোল্লাকে এই এলাকায় অবর্জারভার করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
একদিকে আরাবুল ইসলাম ও কাইজার এই দুই নেতারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও তাঁদেরকে ঘিরে থাকা একাধিক উপগোষ্ঠী উদ্বেগ বাড়িয়েছে শাসকদলের। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব থেকে দলকে বাঁচাতেই শওকতের উপর গুরু দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। একসময় এলাকায় বাম নেতা হিসাবে পরিচিতি ছিল শওকত মোল্লার। রেজ্জাক মোল্লার ডান হাত বলেও ছিল পরিচিত। এই শওকত রেজ্জাকদের বিরুদ্ধেই একদা লড়াই করে উঠে এসেছিলেন আরাবুলরা। পরবর্তীতে শওকতরা দল বদলে এসেছেন তৃণমূলে। বর্তমানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যের কাছের লোক বলেই নতুন পরিচিত তৈরি হয়েছে তাঁর। কিন্তু, এই শওকতে ভাঙড়ের দায়িত্ব দেওয়ায় কি তা খোলা মনে নিতে পারবেন আরাবুল-কাইজাররা? কমবে গোষ্ঠী কোন্দল? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।