Mamata-Abhishek : মমতার ডাকে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে অভিষেক, পরিবারতন্ত্রের খোঁচা বিজেপির

Mamata-Abhishek : হাসিমারায় সুভাষিনী চা বাগানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এদিন সেখানেই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

Mamata-Abhishek : মমতার ডাকে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে অভিষেক, পরিবারতন্ত্রের খোঁচা বিজেপির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2023 | 5:38 PM

কলকাতা : দেখা যায় দলীয় কর্মসূচিতে, দেখা যায় দলের একাধিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও। কিন্তু, সরকারি কর্মসূচিতে খুব একটা চোখে পড়ে না তাঁকে। কিন্তু, ছবিটা বদলাল মঙ্গলবার। ‘দিদির’ ডাকে সাড়া দিয়ে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। করজোড়ে নমস্কারও করেন। শেষে হাসিমুখে নেমে যান মঞ্চ ছেড়ে। মঙ্গলবার এই ছবি দেখা গিয়েছে হাসিমারার সরকারি অনুষ্ঠানে। হাসিমারায় সুভাষিনী চা বাগানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। সেখানেই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, হাসিমারায় মমতার সঙ্গে এসেছিলেন অভিষেক। ছিলেন মঞ্চের পিছনের ঘরে। হঠাই মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে তাঁকে ডাকেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েই মঞ্চে আসেন অভিষেক। তবে বেশিক্ষণ তাঁকে মঞ্চে দাঁড়াননি তিনি। সকলকে নমস্কার করে চলেও যান। মমতার দাবি, ‘পলিটিক্যাল’ ব্যক্তিত্ব হিসাবে মঞ্চে থাকতে চাননি অভিষেক। তাঁর এই ভাবনাকে সাধুবাদও জানান তিনি। তবে মমতার আরও দাবি, অভিষেক একজন নির্বাচিত সাংসদও বটে। সংসদে দল ও জনতার প্রতিনিধিত্ব করেন। সে কারণেই সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে থাকার অধিকার রয়েছে তাঁর। এদিকে হাসিমারায় মমতা-অভিষেকের এই ছবি দেখা যেতেই তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ‘পরিবারতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছেন মমতা’, তোপ বিজেপির।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিককালে দলে গুরুত্ব আগেই বেড়েছিল অভিষেকের। পেয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের গুরু দায়িত্ব। এবার সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে একেবারে তৃণমূল সুপ্রিমোর ডাকে তাঁর গুরুত্ব অনেকটাই বাড়ল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। হাসিমারার মঞ্চ এদিন মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন, “আমার সঙ্গে অভিষেকও এসেছে। আমি ওকে বললাম মঞ্চে আয়। ও তখন বলল না থাক! সরকারি প্রোগ্রাম, আমি পলিটিক্যাল লোক তাই আমি যাব না। আমি বললাম তুই তো একটা সাংসদও বটে। তাই এই মঞ্চে ও থাকতেই পারে। তাই অন্তত একবার এসে সাধারণ মানুষকে নমস্কার করার জন্য ওকে অনুরোধ করব।” এরপরই ফের একবার মাইক হাতে অভিষককে ডাকতে দেখা যায় মমতাকে। মঞ্চে উঠে আসেন অভিষেক। হাসিমুখে হাতজোড় করে নমস্কারও করেন। দর্শকাসন থেকে শোনা যায় মুর্হূমুর্হ করতালির আওয়াজ। তবে মঞ্চে বসতে দেখা যায়নি অভিষেককে।

ঘটনার কড়া নিন্দা করতে দেখা গিয়েছে পদ্ম নেতাদের। মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “যে কোনও মূল্য পরিবারতন্ত্রকে কায়েম করতে হবে। সেটাই করা হচ্ছে। যদি অন্য সাংসদ হত তাহলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠত সরকারি প্রোগ্রামে লোকাল সাংসদ বাদ দিয়ে অন্য সাংসদ কী করে এল? এই প্রশ্নটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার আগে তুলতেন। সেই অপরের ক্ষেত্রে এই জাতীয় বক্তব্য রাখেন নিজের ক্ষেত্রে তখন কোনও ব্যাপার নয়। সরকারটা মনে হয় ওনারা পারিবারিক সম্পত্তি। সেভাবেই সরকারটা চালানোর চেষ্টা করছে। সরকারের মান-মর্যাদাকে নষ্ট করছে। সরকারের মধ্যে পরিবার তন্ত্রকে কায়েম করার চেষ্টা করছে। আমরা এটার তীব্র নিন্দা করছি।”