Arvind Kejriwal Arrested: ‘গণতন্ত্রে বিরাট ধাক্কা,কীভাবে সুষ্ঠ ভোট? ’, কেজরীর গ্রেফতারিতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় প্রশ্ন তৃণমূলের
Arvind Kejriwal Arrested: তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, লোকসভা নির্বাচন পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজেপি মরিয়া কামড় দিচ্ছে। লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপির মুখোশটা নগ্নভাবে খুলে পড়ছে। সুর চড়িয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও।
কলকাতা: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের গ্রেফতারি ফুঁসছে ঘাসফুল শিবির। বিজেপির বিরুদ্ধে এজেন্সিকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের দমানোর অভিযোগে সরব হয়েছেন তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতারা। বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। লেখেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই। এর আগে অবৈধ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে তার প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করা হয় তবে আমরা কীভাবে ভারতে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করতে পারি? SC এবং ECI এখন কাজ করতে ব্যর্থ হলে, ভবিষ্যতে বিজেপির নিপীড়নমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণের সঙ্গে কে দাঁড়াবে?” তাঁর এই পোস্ট ইতিমধ্যেই শেয়ার করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। বলেন, “কেজরীর গ্রেফতার গণতন্ত্রের পক্ষে একটা বিরাট ধাক্কা। ওরা অনেকদিন থেকেই চেষ্টা করছিল গ্রেফতার করার। দিল্লিতে আম-আদমি পার্টির সরকার আছে। পঞ্জাবে ওরা সরকার তৈরি করেছে। কিন্তু, বিজেপি ওদের ক্ষমতা সিজ করার চেষ্টা করেছে। অর্ডিনেন্স করে এই সরকারকে দুর্বল করেছে। কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এভাবে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিভিন্ন দলের নেতাদের ইডি-সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করে এমন একটা অবস্থা ওরা তৈরি করছে যাতে ভারতের গণতন্ত্র অগ্নি পরীক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, লোকসভা নির্বাচন পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজেপি মরিয়া কামড় দিচ্ছে। লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপির মুখোশটা নগ্নভাবে খুলে পড়ছে। সুর চড়িয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও। তিনি বলছেন, “বর্তমান বিজেপি সরকার এজেন্সিগুলিকে বিরোধী দলগুলির ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ ব্যবহার করছে। আজ একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান নেতাকে যেভাবে গ্রেফতার হল তার আমরা তীব্র নিন্দা করছি।” এখানেই না থেমে আরও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শান্তনু বলেন, “কয়েকদিন আগে বেআইনিভাবে অর্ডিন্যান্স জারি করে তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকে নির্বাচনী আচরণ বিধি চলছে তারমধ্যেই গ্রেফতারের ঘটনা দেখা গেল। তাই আমরা বারবার বলছি এই নির্বাচন কমিশনকে রেখে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বারবার সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে নির্বাচন চাইছে।”