TV9 Bangaliana: কেন ক্রমেই বিত্তহারা বিনোদন হয়ে উঠছে বাংলা সিনেমা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 13, 2022 | 11:17 PM

TV9 Bangaliana: অরিন্দম শীলের কথায়, "শুধু আমাদের উপর দায় চাপালেই হবে না। দায় নিতে হবে দর্শকদেরও।"

Follow Us

এতগুলো দশক পার করেও বাংলা চলচ্চিত্রের নামযশের সবটুকু ঘিরে রয়েছেন সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকরাই। বলা হয়, সময় যত এগিয়েছে, বাংলা সিনেমা ব্যবসা করতে গিয়ে অতীতের গৌরব ক্রমেই খুইয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো ভরেইনি, উল্টে আরও বিত্তহারা হয়েছে বিনোদন। বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় যখন বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন, সেই সময়টা বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ। তিনি এখন কলকাতায় থাকেন না। তবে শুনতে পান বাংলা ছবি সেভাবে এখন আর ব্যবসা করতে পারছে না। দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে তিনি জানেন শুধু বিষয় চিত্রনাট্য বা অভিনয়ই নয়, সঙ্গে ছবির জন্য পুঁজিটাও দরকারি।

বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সরকার এগিয়ে আসুক। প্রোডিউসারদের ঘরে ফেরানো হোক। তিনি বলেন, ” এর জন্য সরকারকে সাবসিডি দিতে হবে। মারাঠি ছবির জন্য যে সাবসিডি দেওয়া হয়। শুনেছি ঝাড়খণ্ডের ছবিতেও দেওয়া হয়। রাজস্থান দেয়। সে কারণেই লোকে আসছে। ন্যূনতম একটা আশ্বাস না পেলে প্রোডিউসাররাও তো আসতে চান না। ভাল ভাল পরিচালক রয়েছেন বাংলায়। তাঁরা ভাল ছবি তৈরি করছেন। কিন্তু এটা কমার্শিয়াল আর্ট। যে টাকা খরচ করে ছবি তৈরি হচ্ছে, তার রিটার্ন না এলে এই আর্ট নিয়ে কতদিন বাঁচা যাবে?”

চলচ্চিত্র সমালোচক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের মত, “বিনিয়োগ লাগবে এ বিষয়ে তো সন্দেহ নেই। তবে চলচ্চিত্রকে শিল্প হতে গেলে সাহিত্যের নকল নবিশি ছাড়তে হবে।” পরিচালক অরিন্দম শীল শুধু বিনিয়োগকেই সামনে রাখতে চাননি। তাঁর মতে, সমালোচনা হলে এমন সমালোচনা হোক যেখান থেকে নতুন কিছু পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ছবির ডিস্ট্রিবিউশনকে প্রথমেই রেখেছেন তিনি। আগেকার দিনে সিনেমা নিয়ে হই হইয়েও সায় নেই অরিন্দমের। তিনি বলেন, “আগেকার সিনেমা বিশাল ছিল, আজ সেটা নেই এর বাইরে গিয়েও বলা দরকার সিনেমাকে আমরা কোন চোখে দেখছি। গোটা দেশের চলচ্চিত্র ব্যবসার নিরিখে মুম্বইয়ের থেকেও ভাল ব্যবসা করছে দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র।” সে প্রসঙ্গে তুলে ধরেন বাহুবলী, পুষ্পার কথা।

অরিন্দম শীলের কথায়, “শুধু আমাদের উপর দায় চাপালেই হবে না। দায় নিতে হবে দর্শকদেরও। দক্ষিণ ভারতে চলচ্চিত্র দেখাটা একটা নিয়মে পড়ে। সকাল সাতটার শো সে কারণেই হাউজফুল হয়। এখানে আমরা বাংলা ছবি নিয়ে কথা বলি, কিন্তু সিনেমাহলে দেখতে যাই না। আর মাথায় রাখতে হবে একটা সময় দুর্দশার সময় গেছে বাংলা ছবির। ভুলে গেলে চলবে না উত্তমবাবুর পরবর্তী সময়ে বাংলা ছবি শুধুমাত্র গাছের পিছনে নাচা ছিল ছবি হোত না।”

চলচ্চিত্র প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের মতে, “এত দেশে বাংলা ভাষার মানুষ বসবাস করেন। অথচ বাংলার ছবি কিন্তু আন্তর্জাতিক মার্কেটই তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশেই যায় না ছবি।” অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, “এমন অনেক ছবি দেখে মনে হয়েছে ভাল কনটেন্ট, খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনও করা হয়েছে। কিন্তু লোকে দেখেনি।” কীভাবে ফেরানো যাবে বাঙালি দর্শককে? লেখক সমালোচক উজ্জ্বল চক্রবর্তীর কথায়, “একটু সাহিত্য নির্ভরতা হলে ভাল হয়। যদি খুবই শ্রদ্ধেয় লেখক হন, বহু বছর ধরে বাঙালি তাঁকে শ্রদ্ধা করে আসছে। সেখানে একটা নিশ্চয়তা থাকে ছবিটা দেখে সম্পূর্ণ হতাশ হব না। এটা আমার মনে আছে, সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালি বাছার একটা কারণও কিন্তু বিভূতিভূষণ।”

এতগুলো দশক পার করেও বাংলা চলচ্চিত্রের নামযশের সবটুকু ঘিরে রয়েছেন সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকরাই। বলা হয়, সময় যত এগিয়েছে, বাংলা সিনেমা ব্যবসা করতে গিয়ে অতীতের গৌরব ক্রমেই খুইয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো ভরেইনি, উল্টে আরও বিত্তহারা হয়েছে বিনোদন। বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় যখন বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন, সেই সময়টা বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ। তিনি এখন কলকাতায় থাকেন না। তবে শুনতে পান বাংলা ছবি সেভাবে এখন আর ব্যবসা করতে পারছে না। দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে তিনি জানেন শুধু বিষয় চিত্রনাট্য বা অভিনয়ই নয়, সঙ্গে ছবির জন্য পুঁজিটাও দরকারি।

বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সরকার এগিয়ে আসুক। প্রোডিউসারদের ঘরে ফেরানো হোক। তিনি বলেন, ” এর জন্য সরকারকে সাবসিডি দিতে হবে। মারাঠি ছবির জন্য যে সাবসিডি দেওয়া হয়। শুনেছি ঝাড়খণ্ডের ছবিতেও দেওয়া হয়। রাজস্থান দেয়। সে কারণেই লোকে আসছে। ন্যূনতম একটা আশ্বাস না পেলে প্রোডিউসাররাও তো আসতে চান না। ভাল ভাল পরিচালক রয়েছেন বাংলায়। তাঁরা ভাল ছবি তৈরি করছেন। কিন্তু এটা কমার্শিয়াল আর্ট। যে টাকা খরচ করে ছবি তৈরি হচ্ছে, তার রিটার্ন না এলে এই আর্ট নিয়ে কতদিন বাঁচা যাবে?”

চলচ্চিত্র সমালোচক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের মত, “বিনিয়োগ লাগবে এ বিষয়ে তো সন্দেহ নেই। তবে চলচ্চিত্রকে শিল্প হতে গেলে সাহিত্যের নকল নবিশি ছাড়তে হবে।” পরিচালক অরিন্দম শীল শুধু বিনিয়োগকেই সামনে রাখতে চাননি। তাঁর মতে, সমালোচনা হলে এমন সমালোচনা হোক যেখান থেকে নতুন কিছু পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ছবির ডিস্ট্রিবিউশনকে প্রথমেই রেখেছেন তিনি। আগেকার দিনে সিনেমা নিয়ে হই হইয়েও সায় নেই অরিন্দমের। তিনি বলেন, “আগেকার সিনেমা বিশাল ছিল, আজ সেটা নেই এর বাইরে গিয়েও বলা দরকার সিনেমাকে আমরা কোন চোখে দেখছি। গোটা দেশের চলচ্চিত্র ব্যবসার নিরিখে মুম্বইয়ের থেকেও ভাল ব্যবসা করছে দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র।” সে প্রসঙ্গে তুলে ধরেন বাহুবলী, পুষ্পার কথা।

অরিন্দম শীলের কথায়, “শুধু আমাদের উপর দায় চাপালেই হবে না। দায় নিতে হবে দর্শকদেরও। দক্ষিণ ভারতে চলচ্চিত্র দেখাটা একটা নিয়মে পড়ে। সকাল সাতটার শো সে কারণেই হাউজফুল হয়। এখানে আমরা বাংলা ছবি নিয়ে কথা বলি, কিন্তু সিনেমাহলে দেখতে যাই না। আর মাথায় রাখতে হবে একটা সময় দুর্দশার সময় গেছে বাংলা ছবির। ভুলে গেলে চলবে না উত্তমবাবুর পরবর্তী সময়ে বাংলা ছবি শুধুমাত্র গাছের পিছনে নাচা ছিল ছবি হোত না।”

চলচ্চিত্র প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের মতে, “এত দেশে বাংলা ভাষার মানুষ বসবাস করেন। অথচ বাংলার ছবি কিন্তু আন্তর্জাতিক মার্কেটই তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশেই যায় না ছবি।” অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, “এমন অনেক ছবি দেখে মনে হয়েছে ভাল কনটেন্ট, খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনও করা হয়েছে। কিন্তু লোকে দেখেনি।” কীভাবে ফেরানো যাবে বাঙালি দর্শককে? লেখক সমালোচক উজ্জ্বল চক্রবর্তীর কথায়, “একটু সাহিত্য নির্ভরতা হলে ভাল হয়। যদি খুবই শ্রদ্ধেয় লেখক হন, বহু বছর ধরে বাঙালি তাঁকে শ্রদ্ধা করে আসছে। সেখানে একটা নিশ্চয়তা থাকে ছবিটা দেখে সম্পূর্ণ হতাশ হব না। এটা আমার মনে আছে, সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালি বাছার একটা কারণও কিন্তু বিভূতিভূষণ।”

Next Video