Dharmendra Pradhan: ‘দোটানা নয়, সঠিক দিশায় চলুন’, VC-দের বার্তা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর
Dharmendra Pradhan: রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় যখন এই টানাপড়েন অব্যাহত, তখন 'দোটানা' ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য উপাচার্যদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। বলেছেন, তাঁরা যেন চুপ করে না থাকেন। যেটি সঠিক পথ, সেই রাস্তা ধরে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
কলকাতা: দক্ষিণ কলকাতায় এক পাঁচতারা হোটেলে বৃহস্পতিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাওয়া উপাচার্যদের ‘ক্রীতদাস’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় যখন এই টানাপড়েন অব্যাহত, তখন ‘দোটানা’ ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য উপাচার্যদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। বলেছেন, তাঁরা যেন চুপ করে না থাকেন। যেটি সঠিক পথ, সেই রাস্তা ধরে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের বাতাবরণ ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠেছে। উচ্চশিক্ষায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ মোটেই ভাল চোখে দেখছে না রাজ্য, তা একাধিকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্রাত্য় বসু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইতিমধ্যেই। আর এরই মধ্যে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর এই বার্তা সেই সংঘাতের আবহে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, গতকাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়. বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর পাশাপাশি কয়েকজন রেজিস্ট্রারও উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। রাজ্যের উপাচার্যদের এভাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে চলে যাওয়া মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গতকাল রাতে নিজের এক্স হ্যান্ডেলের বার্তাতেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপাচার্যদের ব্যাখ্যা, তাঁরা শিক্ষাবিদ হিসেবেই অনুষ্ঠানে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেই বৈঠকে অনেক রেজিস্ট্রারই উপস্থিত ছিলেন না। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যর ডাকা বৈঠকে রেজিস্ট্রারদের গরহাজিরা নিয়েও অনেক জলঘোলা হয়েছে ইতিমধ্যেই।