Bangla NewsKolkata Union Home Minister Amit Shah Says Nation's Criminal Justice Changed, Now Chargesheet filed within 60 Days
Amit Shah: ‘অপরাধীদের থেকে দুই কদম এগিয়ে থাকতে হবে’, আইনের উপরে আস্থা তৈরি করাতে বড় বার্তা শাহের
Amit Shah: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ট্রানজাকশন, কমিউনিকেশন যেখানে সবই অনলাইনে হচ্ছে, সেখানে অপরাধের ধরনও বদলে যাচ্ছে। অপরাধীদের থেকে দুই কদম আগে থাকতে হবে।
কলকাতা: শহরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ, ১ জুন তিনি রাজারহাটে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে দেশের আইন ব্যবস্থা সংস্কারে নানা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও ভাগ করে নেন তিনি।
এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন-
আমাদের দায়িত্ব গরিব ব্যক্তিদের আইনের উপরে আস্থা তৈরি করা এবং অল্প সময়েই ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়া।
২০০ কোটি টাকা খরচে ন্যাশনাল ফরেন্সিক ডেটা সেন্টার তৈরি করা হবে। ভারত এখন প্রমাণ ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশ করছে।
প্রতিটি জেলায় ফরেন্সিক মোবাইল ভ্যানের ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের তরফে সহযোগিতা করা হচ্ছে। একাধিক রাজ্য এই উদ্যোগ নিয়েছে। ৭টি ফরেন্সিক কলেজ রয়েছে, নাগপুরে অস্থায়ী ক্যাম্প আছে। আরও ৮টি কলেজ তৈরি করা হবে। দক্ষ ফরেন্সিক এক্সপার্ট তৈরি করা হচ্ছে।
পলাতক বা বিদেশে বসে থাকা অপরাধীরাও ছাড় পাবে না। তাদেরও বিচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং তা্দের দেশে ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য নেওয়া হবে।
ইলেকট্রনিক প্রমাণকে গ্রহণযোগ্য় করা হয়েছে। এই আইনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ন্যায় যাতে সময়মতো পাওয়া যায়। ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করার নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। আমি নিজে নজর রাখছি। ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এটা কার্যকর হচ্ছে।
নতুন আইনে ৭ বছর বা তার বেশি বছরের সাজার ক্ষেত্রে ফরেন্সিক ভিজিট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দেশের আইন ব্যবস্থায় বদল আনা হয়েছে। ১৬০ বছর পুরনো ভারতীয় দণ্ডবিধি পরিবর্তে নতুন আইন তৈরি করা হয়েছে। এটা যুগান্তকারী বদল। এখন নির্দোষরা শাস্তি পাবে না, অপরাধীরা ছাড়া পাবে না। সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ২০ বছরের পুরনো মামলার বিচার হচ্ছে, ফরেন্সিক অডিটের মাধ্যমে বড় বড় আর্থিক প্রতারণা সামনে আসছে। মোবাইল ফরেন্সিক, অ্যাপ ট্রেস, সাইকোলজিক্যাল অ্যানালাইসিস বিশেষ সাহায্য করছে।
আজ নারকোটিক্স ও ফরেন্সিক ২-র উদ্বোধনও হল। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ট্রানজাকশন, কমিউনিকেশন যেখানে সবই অনলাইনে হচ্ছে, সেখানে অপরাধের ধরনও বদলে যাচ্ছে। অপরাধীদের থেকে দুই কদম আগে থাকতে হবে। এর জন্য বিজ্ঞানের ব্যবহার না করি, আইনের ব্যবহার না করি, তাহলে পিছিয়ে পড়ব।
এই যে সিএফএসএল তৈরি করা হয়েছে, তাতে বায়োলজি, সিরোলজি, ডিএনএ, কেমিস্ট্রি, নারকোটিক্স, বিষ বিজ্ঞান, ব্যালেস্টিক, কম্পিউটার সায়েন্স, সাইকোলজি ও ফিজিক্স -সব বিভাগ রয়েছে। যখনই বিশেষজ্ঞের দরকার পড়বে, তখন এখানে সহজে ট্রান্সফার করা যাবে।
যখন পুলিশ, আদালত সকলে এর মাহাত্ব্য বুঝবে এবং নিজেদের কাজে সামিল করবে, তখনই উন্নয়ন হবে। জটিল কেসে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের দরকার আছে, তার সঙ্গে ন্যায় প্রণালীতেও পরিবর্তনের দরকার।
সিএফএসএল-র উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা, উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এই কাজ হয়ে যাবে। প্রতিটি থানায় বসে থাকা আধিকারিকদের এটা বোঝানো হবে। এর মাধ্যমে দেশের অপরাধীদের বিচার তর্ক নয়, প্রমাণ ভিত্তিক করে তুলব, যাতে সন্দেহের কোনও অবকাশ থাকবে না। নিপীড়িতরা সুবিচার পাবে।
দেশে সিএফএসএল-র ক্লাস্টার তৈরি করা হচ্ছে। তিন-চার রাজ্যের ক্লাস্টার তৈরি করে ক্রিমিনাল জাস্টিসকে প্রমাণ ভিত্তিক তৈরি করার চেষ্টা চলছে।