কলকাতা : দলের অভ্যন্তরে একের পর এক নেতার ‘বিদ্রোহ’, শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ফাটলের জেরে বর্তমান সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বঙ্গ বিজেপির(BJP)। এরই মধ্য়ে এবার ফের বেসুরো অর্জুন সিং(Arjun Singh)। পাট চাষিদের দুরবস্থা নিয়ে একযোগে আক্রমণ শানালেন রাজ্য-কেন্দ্রকে। তবে রাজ্যের তুলনায় কেন্দ্রকেই আক্রমণের ঝাঁঝ অনেকটা বেশি। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্য়ে চটকল শ্রমিকদের দুরাবস্থার জন্য সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। একইসঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) অন্দোলনের পাশে থাকা উচিৎ বলে মত অর্জুনের। এই প্রসঙ্গে বিদ্রোহি অর্জুন বলেন, “আমি জুট ইন্ড্রাস্ট্রিতে জন্মেছি। জুট ইন্ড্রাস্ট্রিতে চাকরি করেছি। আমিও সরকারের একটা অংশ। ভারতীয় জনতা পার্টির একজন সাংসদ। যখন জুট শিল্প চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তা একজন মন্ত্রী দেখেও যখন অগ্রাহ্য করেন তখন আর কিছুই বলার থাকে না। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমরা এই কথা বলে আসছি যে আপনার জন্য এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তারপরেও তা তিনি কানে তুলছেন না। পাল্টা উনি বলছেন শেষ হলে কী আছে! আমি বলছি, কেন্দ্র যদি এটা ঠিক না করে তাহলে বাধ্য হয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। বাংলায় যত ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে তাদের সকলের সহযোগিতা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ডাকেন না। মুখ্যমন্ত্রী ডাকলেও যদি আমাদের এই কথা বলতে হয় তাহলে আমরা বলব। কারণ এই ইস্যু নিয়ে যৌথ ভাবে লড়াই করার প্রয়োজন রয়েছে। এটা নাহলে এই শিল্পটাই আর বাঁচবে না”।
এদিকে অর্জুনের বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে খানিক সাবধানী মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP’s All India Co-president Dilip Ghosh)। দিলীপ বলেন, “চট শিল্প নিয়ে যে কেউ কথা বলতে পারেন। কেন্দ্রে এটা নিয়ে একাধিকবার কথাও হয়েছে। কেন্দ্র সরকার সেই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। কিন্তু দুই সরকার মিলিত ভাবে প্রয়াস না করলে তার লাভ পাওয়া যায় না। এই ক্ষেত্রে বাংলার সমস্যা তো রয়েছে”।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ (CPIM Leader Shatarup Ghosh) বলেন, “পাট চাষিদের দুরবস্থার থেকে অর্জুন সিংয়ের নিজের দুরবস্থা, বিজেপির দুরবস্থা অনেক বেশি। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেটাই বোঝা যাচ্ছে। কারণ যখন এই মানুষগুলিই ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃমমূলে যাচ্ছিল তখনই আমরা বলেছিলাম, যদি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসে তবে গোটা তৃণমূল রাজ্যে বিজেপি হয়ে যাবে। আর যদি তৃণমূল ক্ষমতায় থেকে যায় তাহলে গোটা বিজেপি তৃণমূল হয়ে যাবে। আমরা যে কথাটা ভুল বলেনি তা ভোটের পর বারেবারেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মুকুল রায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী থেকে শুরু করে, একের পর এক বিজেপি নেতা তৃণমূলে ফিরেছেন”।
আরও পড়ুন- খুন নয় প্রমাণে মরিয়া তদন্তকারীরা! সিটের রিপোর্টে হাইকোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ আনিসের পরিবারের
কলকাতা : দলের অভ্যন্তরে একের পর এক নেতার ‘বিদ্রোহ’, শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে ফাটলের জেরে বর্তমান সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বঙ্গ বিজেপির(BJP)। এরই মধ্য়ে এবার ফের বেসুরো অর্জুন সিং(Arjun Singh)। পাট চাষিদের দুরবস্থা নিয়ে একযোগে আক্রমণ শানালেন রাজ্য-কেন্দ্রকে। তবে রাজ্যের তুলনায় কেন্দ্রকেই আক্রমণের ঝাঁঝ অনেকটা বেশি। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্য়ে চটকল শ্রমিকদের দুরাবস্থার জন্য সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। একইসঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) অন্দোলনের পাশে থাকা উচিৎ বলে মত অর্জুনের। এই প্রসঙ্গে বিদ্রোহি অর্জুন বলেন, “আমি জুট ইন্ড্রাস্ট্রিতে জন্মেছি। জুট ইন্ড্রাস্ট্রিতে চাকরি করেছি। আমিও সরকারের একটা অংশ। ভারতীয় জনতা পার্টির একজন সাংসদ। যখন জুট শিল্প চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তা একজন মন্ত্রী দেখেও যখন অগ্রাহ্য করেন তখন আর কিছুই বলার থাকে না। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমরা এই কথা বলে আসছি যে আপনার জন্য এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তারপরেও তা তিনি কানে তুলছেন না। পাল্টা উনি বলছেন শেষ হলে কী আছে! আমি বলছি, কেন্দ্র যদি এটা ঠিক না করে তাহলে বাধ্য হয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। বাংলায় যত ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে তাদের সকলের সহযোগিতা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ডাকেন না। মুখ্যমন্ত্রী ডাকলেও যদি আমাদের এই কথা বলতে হয় তাহলে আমরা বলব। কারণ এই ইস্যু নিয়ে যৌথ ভাবে লড়াই করার প্রয়োজন রয়েছে। এটা নাহলে এই শিল্পটাই আর বাঁচবে না”।
এদিকে অর্জুনের বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে খানিক সাবধানী মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP’s All India Co-president Dilip Ghosh)। দিলীপ বলেন, “চট শিল্প নিয়ে যে কেউ কথা বলতে পারেন। কেন্দ্রে এটা নিয়ে একাধিকবার কথাও হয়েছে। কেন্দ্র সরকার সেই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। কিন্তু দুই সরকার মিলিত ভাবে প্রয়াস না করলে তার লাভ পাওয়া যায় না। এই ক্ষেত্রে বাংলার সমস্যা তো রয়েছে”।
এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ (CPIM Leader Shatarup Ghosh) বলেন, “পাট চাষিদের দুরবস্থার থেকে অর্জুন সিংয়ের নিজের দুরবস্থা, বিজেপির দুরবস্থা অনেক বেশি। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেটাই বোঝা যাচ্ছে। কারণ যখন এই মানুষগুলিই ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃমমূলে যাচ্ছিল তখনই আমরা বলেছিলাম, যদি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসে তবে গোটা তৃণমূল রাজ্যে বিজেপি হয়ে যাবে। আর যদি তৃণমূল ক্ষমতায় থেকে যায় তাহলে গোটা বিজেপি তৃণমূল হয়ে যাবে। আমরা যে কথাটা ভুল বলেনি তা ভোটের পর বারেবারেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মুকুল রায় থেকে শুরু করে সব্যসাচী থেকে শুরু করে, একের পর এক বিজেপি নেতা তৃণমূলে ফিরেছেন”।
আরও পড়ুন- খুন নয় প্রমাণে মরিয়া তদন্তকারীরা! সিটের রিপোর্টে হাইকোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ আনিসের পরিবারের