AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

City Centre: সল্টলেক সিটি সেন্টারে যুবকের রহস্যমৃত্যু, ‘আমাকে ক্ষমা করো’, শেষ মেসেজ স্ত্রীকে

Saltlake: চন্দন মণ্ডলের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক চাপে ছিলেন তাঁর স্বামী। কাজের জায়গায় নানারকম চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল চন্দনকে।

City Centre: সল্টলেক সিটি সেন্টারে যুবকের রহস্যমৃত্যু, 'আমাকে ক্ষমা করো', শেষ মেসেজ স্ত্রীকে
সিটি সেন্টার থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2023 | 5:18 PM
Share

কলকাতা: সিটি সেন্টারে যুবকের রহস্যমৃত্যু। নিহতের নাম চন্দন মণ্ডল (৩৮)। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিটি সেন্টারের রয়্যাল বিল্ডিংয়ের চারতলা থেকে নীচে পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবারের দাবি, এটা নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়। পুলিশ মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখুক, আর্জি পরিবারের। ঘটনার খবর পেয়েই এদিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চন্দনের মা, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়।

চন্দন মণ্ডলের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক চাপে ছিলেন তাঁর স্বামী। কাজের জায়গায় নানারকম চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল চন্দনকে। এরইমধ্যে রবিবার দুপুরে সল্টলেক সিটি সেন্টারে একটি ইভেন্টের কাজেই গিয়েছিলেন চন্দন। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, এদিন দুপুরে চন্দনের মোবাইল নম্বর থেকে একটি মেসেজ আসে তাঁর ফোনে। সেখানে মানসিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না বলে লিখেছিলেন চন্দন। তবে যতই চাপ থাকুক না কেন, এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ চন্দনের মা, স্ত্রী।

চন্দনের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমার স্বামী যে সংস্থায় কাজ করত, সেই কোম্পানির বস কিছুদিন ধরে ওকে মানসিক চাপের মধ্যে রাখছিল। ১৫ অগস্টই আমাকে বলেছিল ‘আমি খুব চাপে আছি। আমার বিরুদ্ধে কোনও চক্রান্ত চলছে। আমি ওদের বলছি এত কাজের চাপ, আমার সঙ্গে একটা লোক দিন। বস বলে দিল কাউকে দিতে পারব না। অথচ এক কাজের চাপে আমার যদি কোনও ভুল হয়ে যায় বস বলবে টাকা কেটে নেব’। ওকে কাজ দিতেন বস। অথচ কাজ জমা দিলে সকলের সামনেই যা তা বলতেন। ও সকালেই আমাকে মেসেজ করেছে ‘আমি আর পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করে দাও। সরি।'”

প্রিয়াঙ্কার দাবি, স্বামীর মেসেজ পেয়ে এদিন তিনি পাল্টা লেখেন, ‘তোমার কি চাকরি চলে গিয়েছে?’। প্রত্যুত্তরে চন্দন লেখেন, তেমনটাই ধরে নিতে। প্রিয়াঙ্কা জানান, স্বামীকে মানসিকভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। তারপর আর মেসেজের রিপ্লাই দেননি স্বামী। ফোন করলে তা ধরেননি। এরপরই এই খবর আসে।