
কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের এখনও মাস নয়েক বাকি। তবে বাংলায় পথে নেমে পড়েছে শাসক ও বিরোধীরা। বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে তৃণমূল। আবার ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলায় সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়ে গিয়েছেন। এবার রাজ্যে সভা করতে আসতে পারেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আগামী ২৪ জুলাই তিনি জঙ্গলমহলে বিজেপির একটি সভায় বক্তব্য রাখতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘন ঘন রাজ্যে সভা করতে দেখা গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিক সভা করেছেন। আর ছাব্বিশের নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, গতকাল দুর্গাপুর থেকে ভোটের দামামা কার্যত বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল যখন পথে নেমেছে, তখন দুর্গাপুরের সভা থেকে পাল্টা মোদী বলেন, বাংলার অস্মিতা বিজেপির কাছে সুরক্ষিত। তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এখানকার তৃণমূল সরকার বাংলার উন্নয়নের সামনে প্রাচীর হয়ে রয়েছে। যেদিন বাংলায় এই সরকারের পতন হবে, সেদিন থেকে উন্নয়ন নতুন গতি পাবে।”
মোদীর সভার এক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলায় এবার পা রাখতে পারেন যোগী। জঙ্গলমহলে সভা করার কথা তাঁর। জন সংযোগ কর্মসূচিতেও তিনি অংশ নিতে পারেন। রাজনীতির কারবারিদের একাংশ বলছেন, যোগীকে বাংলায় প্রচারে এনে হিন্দু ভোটকে একজোট করার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি।
বঙ্গ বিজেপির নেতারা বলছেন, ছাব্বিশের নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও অঙ্ক কষে চলেছে। এবার পুজোর পরই ভোটের ইস্তাহার (বিজেপি বলে সংকল্পপত্র) প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে গেরুয়া শিবির। আবার বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় বাড়ি ভাড়া নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ঘন ঘন যাতায়াত নয়। বাংলায় থেকেই ভোটের রণনীতি তৈরি করতে চান শাহ। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বিজেপি যে এখন থেকেই প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে, মোদীর সভার এক সপ্তাহের মধ্যে যোগীকে প্রচারে আনার পদক্ষেপেই স্পষ্ট।