Safe Drive Save Life: শহরের রাস্তায় গতির ঝড় তুলতেন শাকিব, তিনিই আজ পুলিশের ‘আইকন’

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 10, 2021 | 1:17 AM

Safe Drive Save Life: ইনস্টাগ্রাম অথবা ফেসবুকে দ্রুতগতিতে বাইক চালানোর ভিডিয়ো পোস্ট করে ভাইরাল হয়ে যায় এই যুবক। এবার সেই যুবকই এলেন পথ সুরক্ষার পাঠ দিতে।

Safe Drive Save Life: শহরের রাস্তায় গতির ঝড় তুলতেন শাকিব, তিনিই আজ পুলিশের আইকন
পার্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ শাকিব

Follow Us

কলকাতা : সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার বাড়ানোর নেশায় অনেকেই স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে বেরিয়ে অনেক কাজ করে থাকে। এমনকি প্রাণের তোয়াক্কা না করে নানা রকম স্টান্ট দেখানো নেট দুনিয়ায় নতুন কিছু নয়। মাস কয়েক আগে এ ভাবেই অনুগামী বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন এক যুবক। শহরের ব্য়স্ত রাস্তায় কোনও আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বাইকে গতির ঝড় তুলছিলেন তিনি। পুলিশের প্রচেষ্টায় নিজেকে বদলে ফেলেছেন পার্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ শাকিব। এবার পথ সুরক্ষার পাঠ দিতে তাঁকে সামনে আনল পুলিশ। আজ ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে এলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিধাননগরে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে এলেন সেই মহম্মদ শাকিব। ফিতে কেটে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শাকিব। এ ছাড়া এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর এসিপি ট্রাফিক মিট কুমার সহ নিউটাউন থানা ও বিধাননগর ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা।

কায়াসিকি নিনজা ৬৫০ বাইক নিয়ে রাস্তায় দ্রুতগতিতে চালাতেন এই যুবক। মা ফ্লাই ওভার, রেড রোড, নিউটাউন, বিশ্ব বাংলা সরণি সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ঝড়ের গতিতে বাইক চালিয়ে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেন তিনি। সেই ভিডিয়ো দেখে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ তাঁকে খুঁজে যোগাযোগ করে। তাঁকে কাউন্সেলিং করেন আধিকারিকেরা। আজ তাঁকেই এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের মূল উদ্দেশ্য, ওই যুবককে সচেতন করার পাশাপাশি আরও যারা আছে তাদেরকে সচেতন করা।

পুলিশ তাঁকো বোঝায়, এ ভাবে গাড়ি চালালে নিজের কতটা ক্ষতি হতে পারে, অন্যের জন্যও কতটা বিপজ্জনক হতে পারে সেই বিষয়েও বোঝানো হয়। সচেতনতার বার্তা নিয়ে বাইক ব়্যালি করে পুলিশ। প্রথমেই শাকিবকে রাখা হয়।

এই অনুষ্ঠানে ওই যুবক জানান, নিজের ভুল তিনি বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেন, আগামিদিনে আরও বদলে ফেলার চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তিনি বুঝতে পেরেছেন বেশি গতিতে গাড়ি চালাবে কী ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি, তিনি এও বুঝতে পারেন যে, পুলিশ কর্মীরা সারাদিন মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, অথচ মানুষের ভুলে পুলিশের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। তাই নিজেকে বদলে ফেলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : Harvard University: জাতিগত বিভেদকে স্বীকৃতি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের, খুশি মার্কিন মুলুকের ভারতীয় ছাত্ররা

Next Article