কলকাতা: বিরাট কোহলিকে পা ছুঁয়ে স্পর্শ করেছিলেন। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন বর্ধমানের বাসিন্দা ঋতুপর্ণ পাখিরা। সোমবার তাঁকে জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, অভিযুক্ত এই আইপিএল চলাকালীন ইডেন ও তার সংলগ্ন এলাকায় যেতে পারবে না। পাশাপাশি পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েও আদালতে উঠেছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইডেনের যে ফেন্সিং টপকে মাঠের ভিতর ঢুকেছিলেন ঋতুপর্ণ সেই ফেন্সিংটি পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে। সোমবার কোর্টের ভিতর কী সওয়াল-জবাব হল, তা এক নজরে…
বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায়: এই ঘটনা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আসল চিত্র তুলে ধরেছে। কলকাতা পুলিশের চোখ খুলে দিয়েছে। আশা করি পুলিশ শিক্ষা নেবে। যাতে আর এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।
সরকারি আইনজীবী (পিপি): পুলিশ হেফাজত চাইছি
বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায়: কী করবেন হেফাজতে নিয়ে?
পিপি: বিরাট কোহলি একজন ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিগার’। ওঁর মনসংযোগ করতে অসুবিধা হয়েছে। প্রথমে ‘H’ ব্লকের টিকিট থাকলেও, অভিযুক্ত ‘G’ ব্লকে যায়। পুলিশ বের করে দিলে ফের দৌড়ে পৌঁছে যায় ‘G’ ব্লকে দিয়ে। তিন তারিখ ফের খেলা আছে।
বিচারক কৌস্তভ মুখোপাধ্যায়: বাড়ি কোথায়?
অভিযুক্ত ঋতুপর্ণ পাখিরার আইনজীবী: বর্ধমান
অভিযুক্তের আইনজীবী: গতকালের অর্ডার দেখুন, বিরাটের কি বয়ান আছে?
সরকারি আইনজীবী: ক্রিমিনাল ফোর্স আছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ দিন, জামিনে মুক্ত হওয়ার পরই টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া ঋতুপর্ণ বলেন, “আমার ওঁকে প্রণাম করার ইচ্ছা ছিল। করে ফেলেছি। কিছু করার নেই। তবে হ্যাঁ খারাপ লাগছে এই বছর যেতে পারব না। তবে সামনের বছর যাব।” সঙ্গে এও বলেন, “আমি পৌঁছে যাওয়ার পরই বিরাট আমায় বলেন ভাই ভাগ ইহাসে…।”
উল্লেখ্য, শনিবার ইডেনে ফেন্সিং টপকে বিরাটের কাছে দৌড়ে পৌঁছে যান বর্ধমানের বাসিন্দা ঋতুপর্ণ পাখিরা। এই বছরই উচ্চ-মাধ্যমিক দিয়েছেন তিনি। বিরাট তাঁর কাছে ভগবান তুল্য। সেই কারণেই এমন কাজ করেছেন বলে বারেবারে জানিয়েছেন অভিযুক্ত।