
কলকাতা: এখনও ফেরত আসেনি ১০ লক্ষ ফর্ম। সোমবার রাজ্যে চলা ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। সপ্তাহ পেরলেই প্রায় এক মাসের গন্ডিতে পা দেবে রাজ্যের এসআইআর প্রক্রিয়া। তার আগে কতটা এগিয়েছে কাজ, তা জানিয়ে দিলেন তিনি।
কমিশন প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৭ কোটি ৬৬ লক্ষের অধিক। এই ভোটারদের জন্য নিযুক্ত রয়েছে ৮০ হাজারের অধিক বিএলও। ফর্ম বিলির কাজ শেষ হয়েছে। তবে ডিজিটাইজড হয়েছে মোট ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ফর্ম। অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটার তাঁদের ফর্ম সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলওর কাছে জমা দেননি।
১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর এক সপ্তাহের মাথায় কমিশন জানিয়েছিল, কাজের নিরিখে এগিয়ে বাংলা। কিন্তু বাংলার অন্দরে এগিয়ে কারা? সোমবার সেই তথ্য তুলে ধরেছেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। প্রত্য়েক জেলায় ভাল কাজ হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। তবে জেলাভিত্তিক অঙ্কের নিরিখে এগিয়ে পূর্ব বর্ধমান।
সিইও-র দেওয়া পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, বর্তমানে জেলার নিরিখে সবচেয়ে বেশি ডিজিটাইজেশনের কাজ হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। সেখানে কাজ এগিয়ে গিয়েছে ৬৬.৪৭ শতাংশ। আলিপুরে কাজ এগিয়েছে ৬৬.৪১ শতাংশ। উত্তর দিনাজপুরে কাজ এগিয়েছে ৬৫.৪৩ শতাংশ। মালদহে ৬৫.৪৩ শতাংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৫.২৭ শতাংশ।
শুধুই জেলাভিত্তিক নয়। বিধানসভা ভিত্তিক তথ্যও তুলে ধরেছেন রাজ্যের সিইও। তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভা ভিত্তিক ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের কাজে শীর্ষে রয়েছে গোসাবা, তারপর ক্যানিং পূর্ব। এরপর ফলতা, মোথাবাড়ি, কতুলপুর, বাসন্তি, সবং, কুমারগ্রাম, পিঙলা, সুজাপুর, কেতুগ্রাম, গোয়ালপুখর, কাঁথি উত্তর, ভাঙড়, ডেবরা এবং সবশেষে মগরাহাট পশ্চিম।