Recruitment Case: ‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিচ্ছি’, সরকারকে ‘ডেডলাইন’ দিয়ে দিলেন চাকরিহারারা
Recruitment Case: এদিনই আবার সংগ্রামী মঞ্চে যেতে দেখা যায় বেশ কিছু চাকরিহারাকে। এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চই আবার দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

কলকাতা: ‘আমরা পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে আমরা মুখ্যন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ডাক না পেলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব।’ সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন কার্যত এ ভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন চাকরিহারারা। একইসঙ্গে এপ্রিলের ২১ তারিখ নবান্ন অভিযানের ডাকও দিয়ে দিলেন। পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের ডাকেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এক ছাতার তলার এসেছে গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের ১২-১৩টি মঞ্চ। তাঁরাই সম্মিলিতভাবে এই অভিযানের ডাক দিয়েছেন।
এদিন নেতৃত্বের সাংবাদিক বৈঠকও করা হয়। সেখানে বারবার প্রশ্ন তোলেন সরকারের উদাসীনতা নিয়ে। সাফ বলছেন, “আমরা এখনও মুখ্যমন্ত্রীর উপরে আস্থা রেখেছি। আর কত দিন!” খানিক ক্ষোভের সুরেই এদিন তাঁদের বলতে শোনা যায়, “সব চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ আইনই জটিলতার কারণে আটকে নেই। সরকার চাইলেই সমাধান সম্ভব। শুধু বৈঠক নয়, বৈঠকের মধ্যে দিয়ে সমাধান চাই।” এখানেই না থেমে তাঁরা ৭ তারিখের বৈঠকের প্রসঙ্গও উঠে আসে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে। খানিক হতাশার সঙ্গেই তাঁদের বলতে শোনা যায়, “আমরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, সে কারণে আমাদের প্রত্যেকটা দিন ভয়ের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়। আমরা বেকার ভাতা চাই না।”
অন্যদিকে এদিনই আবার সংগ্রামী মঞ্চে যেতে দেখা যায় বেশ কিছু চাকরিহারাকে। এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চই আবার দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মঞ্চ থেকেই এক চাকরিহারা শিক্ষক ৭ তারিখের বৈঠকের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। স্পষ্ট বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো ডেকেছেন আমাদের ঠিক আছে। কিন্তু উনি কাদের নিয়ে বসতে চাইছেন? যোগ্যদের নিয়ে নাকি অযোগ্যদের নিয়ে? যোগ্য়-অযোগ্য যদি সঙ্গে বসে, যাঁরা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে, আমরা যোগ্যরা তো তাঁদের সঙ্গে বসতে পারব না।”
