Bratya Basu: আমাদের কাছে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আছে: ব্রাত্য বসু
Bratya Basu: মিটিং শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানান, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের এও জানানো হয়েছে আইনি পরামর্শের পর সব সদর্থক থাকলে রবিবার অর্থাৎ ২০ এপ্রিলের মধ্যে সেই তালিকা তৈরি করে ফেলা হবে।

কলকাতা: মিটিংয়ে কী হয় সেদিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন চাকরিহারারা। ছিলেন ১৩ প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আমাদের আছে। এসএসসি-র ওয়েবসাইটে সেই তালিকা আপলোড করতেও কোনও সমস্যা নেই। শুধু দরকার আইনি পরামর্শের।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি ব্রাত্য বললেন, “ওরা যেগুলো বলেছেন তার সঙ্গে আমাদের কোনও মৌলিক বিরোধ নেই। ওদের দাবি খুবই ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের যেহেতু সরাসরি নির্দেশ রয়েছে তাই আইনি পরামর্শ বা কবচ ছাড়া কোনও কাজই করতে পারব না। আমরা আইনি পরামর্শ নেব।”
অন্যদিকে, মিটিং শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানান, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের এও জানানো হয়েছে আইনি পরামর্শের পর সব সদর্থক থাকলে রবিবার অর্থাৎ ২০ এপ্রিলের মধ্যে সেই তালিকা তৈরি করে ফেলা হবে। সোমবার ২১ তারিখ তা প্রকাশ করা হতে পারে। ব্রাত্য বলছেন, “আমি গতকালও বলেছিলাম এসএসএসির কাছে এই তথ্য আছে সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। সেটা এসএসসি তিনবার হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছে। অর্থাৎ, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আমাদের আছে।”
ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের মতে এদিন শুরু থেকেই বারবার ধোঁয়াশা কাটানোরই চেষ্টা করেন। সে কারণেই ব্রাত্য বারবার বলেন, “ওরা চাইছেন এসএসসি যেন সেই তালিকা ওয়েবসাইটে তুলে দেয়। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” এমনকী তিনি এসএসসি কর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন বলেও জানান। বলেন, “এসএসসি-র চেয়ারম্যান এখানে আছেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছি। সিবিআই থেকে প্রাপ্ত যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা ওয়েবসাইটে তাঁরা তুলে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই যদি এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক আইনি পরামর্শ আমরা পাই।”
