কলকাতা: সকাল থেকে টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত তাঁর ভাইকে কি দোষীসাব্যস্ত করবে আদালত? শিয়ালদা আদালতের বিচারক ধৃতকে দোষীসাব্যস্ত করার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন সিভিক ভলান্টিয়ারের দিদি। কাঁদতে কাঁদতেই বললেন, আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা তাঁরা মেনে নেবেন।
গত বছরের ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তিলোত্তমাকাণ্ডে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। শিয়ালদা কোর্টে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই।
শনিবার তিলোত্তমাকাণ্ডে সঞ্জয় রাইকে দোষীসাব্যস্ত করেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। সোমবার দুপুরে সাজা ঘোষণা করবেন। বিচারক জানিয়েছেন, সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে দোষীসাব্যস্ত সঞ্জয়ের। আর সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড।
আদালত সঞ্জয়কে দোষীসাব্যস্ত করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর এক দিদি। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সঞ্জয় সবচেয়ে ছোট। সঞ্জয়ের ওই দিদি জানান, তাঁর বিয়ের পর ভাইয়ের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। তিনি বলেন, “ভাইয়ের দুটো বিয়ে। তবে মহিলাদের কটূক্তি করত বলে শুনিনি।”
ভাইকে কি তিনি দোষী বলে মনে করেন? সঞ্জয়ের ওই দিদি বলেন, “ধরা পড়ার পর তখন মনে হয়নি। এখন তো তথ্য-প্রমাণ সামনে আসছে।” ভাই মদ্যপান করতেন বলে জানালেন। কিন্তু, তাঁর ভাই যে এমন নৃশংস কাজ করতে পারেন, তা যেন ভাবতেও পারছেন না সঞ্জয়ের ওই দিদি। বিচারক জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। কী ভাবছেন তাঁরা? সঞ্জয়ের দিদি জানালেন, “আইন যা নির্দেশ দেবে, তা মেনে নেব।”