Weather Update: বছর শুরুর সঙ্গী রবিবাসরীয় রোদ, দিনভর হিমেল আমেজেও থমকে পারদপতন..কী বলছেন আবহবিদরা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 02, 2022 | 8:48 AM

Kolkata: আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার কার্যত সারাদিনই আকাশ থাকবে ঝলমলে। ভোরের দিকে কুয়াশা দেখা গেলেও, ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হবে।

Weather Update: বছর শুরুর সঙ্গী রবিবাসরীয় রোদ, দিনভর হিমেল আমেজেও থমকে পারদপতন..কী বলছেন আবহবিদরা?
ফের পারদ পতন (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: বছরের প্রথম রবিবার। নতুন বছর গড়ালেও জাঁকিয়ে ঠান্ডার (winter) সুখ এখনও অনুভব করেননি বঙ্গবাসী। সেই সম্ভাবনা এখনও খুব বেশি নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মেঘ কেটে ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও হিমেল আমেজ অনুভূত হবে। কিন্তু, এখনও বিপদ যায়নি। মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ফের ছাতাই সঙ্গী হতে চলেছে, অন্তত এমনটাই বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস।

আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার কার্যত সারাদিনই আকাশ থাকবে ঝলমলে। ভোরের দিকে কুয়াশা দেখা গেলেও, ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হবে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি। রবিবার বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৪৭ শতাংশ।

আপাতত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বিপদ কেটেছে। তাই আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত উত্তুরে বাতাস বিশেষ বাধা পাবে না। সর্বত্র থাকবে হিমেল আমেজ। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৪ জানুয়ারি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আগমন ঘটতে পারে উত্তর পশ্চিম ভারতে। ফলে ফের বাধা পাবে শীত। পৌষেও অকালবৃষ্টির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। ৪ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝর প্রভাবে উত্তর, মধ্য ভারতে আবার বৃষ্টি হতে পারে। ফলে বাধা পাবে উত্তর-পশ্চিমের বাতাস।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে,’২১-এ গোটা ডিসেম্বর মিলিয়ে কলকাতার রাতের তাপমাত্রার গড় থেকেছে স্বাভাবিকের উপরেই।  পরিসংখ্যান বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় দাঁড়িয়েছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিক ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাত্‍ স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি বেশি। শীতে তো তাপমাত্রা কম থাকবে, হল বেশি! অধরা পাশ মার্কই। কেন বেশি হয়েছে? উত্তর সহজ। ৩১ দিনের মাসে ১৮ দিনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের উপরে। ১৩ দিন পারদ ছিল স্বাভাবিক বা তার নীচে।

গত ২০ ডিসেম্বর ছিল একুশের শীতলতম দিন। কলকাতার তাপমাত্রা নেমে যায় ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শৈত্যপ্রবাহ থাবা বসায় পশ্চিমাঞ্চলে। সবাইকে পিছনে ফেলে রাজ্যের সমতলে শীতলতম স্থানের তকমা পায় নদিয়ার কল্যাণী। তাপমাত্রা নামে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা নামে ৭.১ ডিগ্রিতে। পাহাড়ি কালিম্পংকেও পিছনে ফেলে দেয় সমতলের দুই জায়গা। কিন্তু জাঁকিয়ে শীতের দাপট বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বাধার পাহাড় নিয়ে হাজির হয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। নতুন বছরেও সেই বিপদ এড়ানো যাচ্ছে না।

মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টানা ঠান্ডা পেতে হলে দুই ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক থাকতে হয়। সেই জন্যই গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর একটানা শীতের আমেজ পেয়েছে কলকাতা। কিন্তু দু’টি ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক না-থাকলে তাপমাত্রা নামার সময় পায় না। সেটাই হয়েছে।” তাহলে উপায়? আপাতত, শীতের জন্য চাতকের অপেক্ষা! বলছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন: ‘সে যে চমকে বেড়ায়, দৃষ্টি এড়ায়’…৪৮ ঘণ্টা পেরলেও খাঁচায় ধরা দিল না ‘পাঁকাল’ বাঘ!

 

Next Article