কলকাতা: ডিসেম্বরের শীতেও বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মেলেনি। যদিও গত ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও, জেলায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও ভারী কোথাও বা মাঝারি। সেই বৃষ্টিতে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে মরসুমি চাষের। তবে এক ঝঞ্ঝার প্রভাব যেতে না যেতেই আরেক ঝঞ্ঝা উপস্থিত। জোড়া ঝঞ্ঝার ফলায় কার্যত শীতের শিরে সংক্রান্তি! জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পরার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন আলিপুর হাওয়া অফিস।
জানুয়ারির শুরুতে কলকাতায় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে। জেলায় ১১-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি হতে পারে। তারপর আবার বাড়বে তাপমাত্রা । ৪ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝর প্রভাবে উত্তর, মধ্য ভারতে আবার বৃষ্টি হতে পারে। ফলে বাধা পাবে উত্তর-পশ্চিমের বাতাস। ফের ছন্দ কাটবে শীতের।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমে জেলাগুলোতে মেঘলা এবং হালকা বৃষ্টি হতে পারে । বাঁকুড়া , দুই বর্ধমান মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পশ্চিম মেদনীপুরের কুয়াশার দাপট বেশি থাকবে। ৩০ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমানের হালকা বৃষ্টি হবে। শনিবার দিন থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাপমাত্রা আগামীকাল ও পরশু যা আছে তাই থাকবে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৭ ও সর্বনিম্ন ১৬.৬।
কবে কোথায় বৃষ্টিপাত?
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতায় হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে টাইগার হিলে তুষারপাত হচ্ছে। বরফের সাদা চাদরে মুড়েছে শৈলরানি। আপাতত, শীত আসছে না। সপ্তাহান্তে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বদলাতে পারে হাওয়া। আসতে পারে শীত। আপাতত, শীতের জন্য অপেক্ষাই সম্বল বলছেন আবহবিদরা।
এদিকে, পৌষের অকালবর্ষণে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে চাষের। মরসুমি চাষ তো নষ্ট হয়েছেই, সমস্যায় পড়েছেন আলুচাষিরা। জমিতেই মরে যাচ্ছে চারা। ফলন না হওয়ায় বাজারেও টান পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ফলে দামেও সেই আগুন ছোঁয়াচ লাগবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Soumen Mahapatra on Suvendu Adhikari: ‘আলো নিভিয়ে ধমকে-চমকে জিতেছেন, আপনাকে বিধায়ক মানি না’