কলকাতা: জাঁকিয়ে শীত (winter) পড়েছে বঙ্গে। আপাতত, বৃষ্টির ছুটি। তবে সেই সুখ বেশিদিনের জন্য নয়। সপ্তাহ শেষেই ফের বৃষ্টির ভ্রুকূটি বঙ্গে। শুক্রবার থেকেই বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। সরস্বতী পুজোয় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হবে না। বৃহস্পতিবার থেকে ধীরে ধীরে ফের বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা। শুক্রবার এক ধাক্কায় প্রায় ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। ওইদিন থেকেই বঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার সরস্বতী পুজোতেও হতে পারে ভারী বৃষ্টি। কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।
মঙ্গলবার, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। সর্বনিম্ন পরিমাণ ৪২ শতাংশ। মঙ্গলবার ভোরের আকাশে কুয়াশা থাকবে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে গিয়ে রোদের দেখা মিলবে।
শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শনিবার, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রবিবারও অব্যাহত ছিল পারদ পতন। সোমবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। তবে, মঙ্গলবার ১২-র কাঁটা পেরিয়েছে তাপমাত্রা।
বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। এতগুলি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অসময়ে বঙ্গে আগমন ও গমন কোনওভাবেই এ রাজ্যের জন্য ভাল নয় বলেই জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। আশঙ্কা, আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার জন্য বিপদের বঙ্গের জলবায়ু। নতুন বছরে লেগেই থাকতে পারে, অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ সে সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গোটা রাজ্যেই অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। খরার বিপদ দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়।
আরও পড়ুন: Seikh Sufiyan on Suvendu Adhikari: ‘ওঁ দেশি ছেলে, দেশি নুন ব্যবহার করেন, আমরা টাটা নুন দেব’
আরও পড়ুন: WBBSE: খুলছে স্কুল, একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্র্যাকটিকাল ক্লাসে জোর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের