কলকাতা: পুরভোটে দেদার ছাপ্পা, সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকল বিজেপি। সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। দলের তরফে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বনধের ঘোষণা করে বলেন, শুধু রাজনৈতিক দল নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই বনধের সমর্থনে এগিয়ে আসুক। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে গেলে এইভাবে চলতে পারে না। বাংলাকে রক্ষার তাগিদেই সকলকে বনধে শামিল হতে হবে।
রবিবার ভার্চুয়ালি সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমার নিজের জেলাতেই গঙ্গারামপুর পুরসভায় প্রায় ২-৩ হাজার বহিরাগত আনা হয়েছে। আমাদের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীকে বেধড়ক মেরেছে। তাঁর জীবন সংশয় আছে বলে শুনেছি। এভাবে ভোট করানোর কোনও মানেই হয় না। দু’জন সাংবাদিককেও মারা হয়েছে। সূত্র মারফৎ জেনেছি নির্বাচন কমিশনও বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমরা সোমবার ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ১২ ঘণ্টার সর্বাত্মক বনধের ডাক দিচ্ছি।”
সুকান্তের আহ্বান, “আমাদের কর্মী সমর্থকরা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাঠে নামবেন। এই গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য শুধু আমাদের কর্মীরাই নন, আমি আহ্বান জানাচ্ছি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসার জন্য।”
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আজ যে কায়দায় ভোট হয়েছে তা কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় চলতে পারে না। কোথাও সকাল সাড়ে ৫টায় বুথ দখল হয়েছে। কোথাও ৯টায় তাণ্ডব শুরু হয়েছে। তারপর দুপুর আড়াইটে থেকে তুলকালাম হয়েছে। ধাপে ধাপে বাহিনী এসেছে। সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পুরসভায় যাদের ভোট করাতে দেখা গিয়েছে তাতে আগামিদিন কোথায় যাবে মানুষের চিন্তা করা উচিৎ।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, “অবাধ ভোট লুঠ হবে কেউ ভাবেনি। আবারও নির্বাচন চাওয়া উচিৎ।” অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেন, “নির্বাচন কমিশনার কে গ্ৰেপ্তার উচিত। এই সরকারকে রেখে কোনও নির্বাচন সম্ভব নয় ।” এই বনধ নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যাদের ক্ষমতা নেই জেতার, এই বনধ ডেকে তারা অশান্তি করতে চাইছে।”