কলকাতা: ‘ভোট দিতে গেলে খুন করে দেওয়া হবে’, খোদ কলকাতার বুকে বাড়ি বাড়ি ঢুকে মুখে মাস্ক পরে শাসানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলে হামলা। একটি বাচ্চা মেয়েকে চুলের মুঠি ধরে মারা হয় বলে অভিযোগ। লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এক যুবকের পায়েও। ভোটের আগেই (West Bengal Assembly Election 2021) দিনেদুপুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড কসবার (Kasba) ভারপট্টি এলাকায়। ঘটনাস্থলে যান ডিসি সাউথ ওয়েস্ট রশিদ মুনীর খান। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। কলকাতা পুলিশকে ঘিরে দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কসবার বিভিন্ন এলাকায় বাইক বাহিনীর দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। শুক্রবার সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় কসবার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড। বাঁশ, লাঠি, নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় এক দল দুষ্কৃতীকে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি শাসায় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীদের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করছে। প্রতিবাদ করলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে ভোট দিলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা!
রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করে তারা। একটি বাচ্চা মেয়ে সামনে পড়ে গেলে, তাকেও চুলের মুঠি ধরে মারা হয় বলে অভিযোগ। এক যুবকের পায়ে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি পরিবার বিজেপি সমর্থক। আর সেই কারণেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
এলাকায় যান সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিক সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষ। এলাকায় পৌঁছন ডিসি ধৃতিমান সরকার। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কমব্যাট ফোর্সও। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন শতরূপ। পুলিশের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। যদিও এই ঘটনায় এলাকার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক জাভেদ খানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।