প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
পশ্চিমবঙ্গের ‘রূপকার’ বিধানচন্দ্র রায়ের বক্তৃতার সংকলন ছাপতে চলেছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লাইব্রেরি কমিটি বক্তৃতার সংকলনের বিষয়টি দেখাশোনা করছে। রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্রের বক্তৃতার সংকলনটি তাঁর জন্মদিন ও মৃত্যুদিন আগামী ১ জুলাই প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। প্রথম দফায় ১২০০ কপি বই ছাপা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বইগুলি সংসদ, দেশের অন্য সব বিধানসভায় পাঠানো হবে। পাশাপাশি, জাতীয়, রাজ্য ও জেলা গ্রন্থাগারে পাঠানো হবে। তাছাড়া বিধানসভার পোর্টালে এই বক্তৃতা সংকলনটি থাকবে।
বিধানচন্দ্রের বক্তৃতার সংকলন প্রকাশের পরই রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার সংকলন ছাপা হবে। ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন মমতা। বিধানচন্দ্রের বই সংকলনের কাজ শেষ হওয়ার পরই তাঁর বক্তৃতার সংকলনের কাজ শুরু হবে বলে খবর।
বিধানচন্দ্র রায়ের পর মমতার বক্তৃতার সংকলন প্রকাশ নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিধানসভায় একটা মিউজিয়াম হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, ওই মিউজিয়ামে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সংকলন থাকবে। এখন শুনতে পাচ্ছি, শুধু বিধানচন্দ্র রায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সংকলন থাকবে। জ্যোতি বসু প্রায় ৫০ বছর বিধানসভার সদস্য ছিলেন। দেশের সবচেয়ে বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর বক্তব্য থাকছে না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের বক্তব্যের সংকলন থাকছে না। বিস্ময়করভাবে তাঁদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।”
যদিও বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা বলছেন, বাকি মুখ্যমন্ত্রীদের বক্তৃতার সংকলন মমতার বই প্রকাশের পরে হবে। সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে, সিদ্ধার্থ শংকর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা মমতার আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাহলে তাঁদের আগে কেন মমতার বক্তৃতার সংকলন প্রকাশ হবে?
আরও পড়ুন : Deocha Pachami Coal Project: দেউচার আন্দোলনকারীদের নবান্নে ডেকে বোঝানোর চেষ্টা, বরফ কি গলাতে পারলেন মমতা?