কলকাতা: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ওয়ার্ডে তৃণমূলকে পিছনে ফেলল সিপিএম। নিঃসন্দেহে এই ফল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কলকাতার ৬৫ নম্বর ওয়ার্ড বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে পিছনে ফেলেন সিপিএমের সায়রা শাহ হালিম। যদিও সার্বিক ফলাফল এখনও সামনে আসেনি। তবে ওয়ার্ডভিত্তিক যে ফল আসছে, তাতে জানা গিয়েছে শুধু ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডই নয়, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডেও জয়ী সিপিএম। এখনও অবধি যা খবর, বুদ্ধবাবুর ওয়ার্ডে ৩০০র বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে পিছনে ফেলেছেন সায়রা। অন্যদিকে ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন ১৫৩ ভোটে।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি বাম জমানার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে ১২ এপ্রিল বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে সায়রা শাহ হালিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, বুদ্ধবাবু শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও রাজনীতি, সমাজের সমস্ত খবর রাখেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সায়রার এই সাফল্য নিঃসন্দেহে আনন্দ দেবে তাঁকেও।
সদ্য ১০৮টি পুরসভার ভোট হয়েছে। একটি মাত্র পুরসভায় বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পেরেছে। তাহেরপুর পুরসভা দখলে নিয়েছে সিপিএম। সেই সময় থেকেই বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল , তা হলে কি বিকল্প শক্তি হিসাবে ধীরে ধীরে আবারও উঠে আসছে বামেরা? আবারও অক্সিজেন সঞ্চয় করছে তারা? শনিবার বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের গণনার ট্রেন্ড আরও একবার আলোচনার দাবিদার করে তুলল সেই প্রশ্নকেই। ১৫, ১৬ রাউন্ড গণনার শেষে বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে ভোটের ব্যবধান কমেছে সায়রা শাহ হালিমের।