কলকাতা : শাপে বর হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এমনটাই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। কেন? কারণ, শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আনা স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিসের আপাতত কোনও শুনানি হবে না। অভিযোগ, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। সেই সম্পর্কিত বিষয়েই প্রিভিলেজ শুনানি চলছিল। কিন্তু এখন শুভেন্দু আসতে পারবেন না বিধানসভায়। তাই আপাতত বিষয়টি বন্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ সময় চলে এসেছিল। অথচ, সাসপেন্ড থাকার কারণে কমিটি মিটিং ঘরে ঢুকতে পারবেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সে কারণে বন্ধ থাকছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আসা স্বাধীকার ভঙ্গ সংক্রান্ত শুনানি পর্ব।
এছাড়াও আরও দুটি বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গ প্রস্তাবের জন্য নোট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে থাকবে স্বাধীকারের ভঙ্গ প্রস্তাব কেন আনা হয়েছে এবং কারা সেই প্রস্তাব এনেছেন, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। ওই নোট প্রিভিলেজ কমিটির সদস্যদের দেওয়া হয়। এই বিষয়ে প্রিভিলেজ কমিটির সদস্য তাপসী মণ্ডল জানিয়েছেন, “প্রিভিলেজ কমিটিতে আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভার স্পিরাকর সাসপেন্ড করেছেন, তাই যতদিন এই সাসপেনশন থাকছে, তাঁর সম্পর্কে আলোচনা সঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে যতদিন না সাসপেনশন উঠছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস সংক্রান্ত আলোচনা স্থগিত রাখা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার ভিতরেই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে যায়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে যান তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের একাংশ। ঘটনার জেরে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা সহ অন্যান্য বিধায়কদের বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। এমনকী মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অতীতের নির্দেশের কথাও তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।