কলকাতা: নির্বাচন মাত্র তিন কেন্দ্রে ঠিকই। কিন্তু তিন কেন্দ্রের নির্বাচনেও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও ফাঁক-ফোকর রাখতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তাই প্রাথমিকভাবে যা ভাবা হয়েছিল, তার থেকেও বেশি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোতায়েন করা হবে। এমনকি, ঠিক বিধানসভা নির্বাচনের কায়দায় রাখা হবে দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষকও। এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। যা কার্যত একটা বিষয় সাফ করে দিচ্ছে। মাত্র দুটি আসনে বিধানসভা নির্বাচন এবং একটা আসনে উপনির্বাচনের (Bhawanipur Bypolls) আয়োজন নিয়েও কতটা চাপে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিশেষত, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাগুলির পরে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভাবা হয়েছিল, বিধানসভা আসন প্রতি ৮ থেকে ১০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগেই বঙ্গ বিজেপি নেতারা কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে আরও বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার আবেদন জানিয়েছিলেন। কমপক্ষে ৪০ কোম্পানি করে বাহিনী প্রতি বিধানসভায় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশন ততটাও কঠোর হয়নি। সূত্র জানাচ্ছে, তিন কেন্দ্রের জন্য মোট ৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। যার মধ্যে ১৫ কোম্পানি বাহিনী ইতিমধ্যেই চলে এসেছে রুট মার্চের জন্য। আগামিকাল থেকে রুট মার্চও শুরু হয়ে যাবে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে।
তিন কেন্দ্রের মধ্যে অবশ্য ভবানীপুরেই সবচেয়ে কম সংখ্যক সেনা থাকছে। সূত্র জানাচ্ছে, ভবানীপুরের জন্য ১৫ কোম্পানি, জঙ্গিপুর ও সমশেরগঞ্জে যথাক্রমে ১৮ ও কোম্পানি আধাসেনার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। অর্থাৎ উপনির্বাচনেও প্রায় ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা থাকছে। তিন কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বুথ রয়েছে সমশেরগঞ্জে। এরপর জঙ্গিপুর ও শেষে ভবানীপুর। এদের বুথ সংখ্যা যথাক্রমে ৩২৯, ৩৬৩, ২৮৮ টি।
শেষ বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যতীত একটিও বুথ ছিল না। ১০০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে নিরাপত্তার বেনজির বহর দেখেছিল রাজ্যবাসী। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন-সহ জঙ্গিপুর ও সমশেরগঞ্জে বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই উপলক্ষে তিন কেন্দ্রের প্রতিটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: অজানা জ্বরে শিশুমৃত্যুর পর নড়ল টনক? চিকিৎসকদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ স্বাস্থ্যভবন
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা-সহ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আট দফা ধরে চলা নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে রাজ্যে ১০০০ হাজার কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দোবস্ত করা হয়। ভোট যত পিছিয়েছিল, নিরাপত্তাও ততটাই কড়া হয়েছিল। এমনকী, শীতলকুচির একটি বুথে আত্মরক্ষার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছোড়া গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টিকে রাজনীতির অঙ্গ হিসেবেই দেখছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: Arjun Singh: সাংসদের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে উদ্ধার ৩টি তাজা বোমা! বাড়ি বাড়ি তল্লাশিতে CID