বেঁধে দেওয়া চার্ট মানতে হবে, কোভিডকালে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার খরচ নিয়ে অনড় স্বাস্থ্য কমিশন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 05, 2021 | 6:04 PM

Radiology and Pathological Test: কমিশনের বক্তব্য, দু-তিনটি হাসপাতাল ছাড়া আর কার‌ও অসুবিধা হ‌ওয়ার কথা নয়।

বেঁধে দেওয়া চার্ট মানতে হবে, কোভিডকালে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার খরচ নিয়ে অনড় স্বাস্থ্য কমিশন
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: কোভিড (COVID-19) চিকিৎসায় প্যাথলজি-রেডিওলজি পরীক্ষার খরচ বেঁধে দিয়েছিল স্বাস্থ্য কমিশন। গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয় কমিশনের তরফে। সেই বেঁধে দেওয়া খরচ নিয়ে সংঘাতের আবহ তৈরি হওয়ায় উপক্রম কমিশন ও বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনগুলির মধ্যে।

গত জুলাইয়ে পাঁচটি রেডিওলজি এবং ১৫টি প্যাথলজি পরীক্ষার খরচ বেঁধে দিয়ে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ১৫০-এর বেশি শয্যা রয়েছে এমন হাসপাতালের ক্ষেত্রেই নির্দেশিকা বলবৎ করার কথা বলেছিল কমিশন। মূলত নির্দেশিকায় রেডিওলজিক্যাল টেস্ট যেমন বুকের এক্সরে, ইউএসজি, সিটি পালমোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফির মতো কোভিডকালে প্রয়োজনীয় টেস্টের খরচ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। প্যাথলজিক্যাল ক্ষেত্রেও আইএল-৬, ডি-ডাইমার, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড পরীক্ষার খরচের তালিকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।

কমিশনের সেই নির্দেশে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ১৯টি বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হাসপাতালস ইন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। চিঠির জেরে বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্য কমিশন। তবে দীর্ঘ সে বৈঠকেও মেলেনি সমাধানসূত্র।‌ কমিশনের বক্তব্য, দু-তিনটি হাসপাতাল ছাড়া আর কার‌ও অসুবিধা হ‌ওয়ার কথা নয়। উল্টোদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠনের সভাপতির বক্তব্য, কমিশন সব কিছুতে যে ভাবে নিদান দিচ্ছে তা ঠিক নয়।

বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে জানানো হয়েছে, কমিশনের সঙ্গে বৈঠক ভালই হয়েছে। তারা তাদের সমস্যাগুলি বলেছে। বেসরকারি হাসপাতালে এ ভাবে খরচ বেঁধে দেওয়াটা ঠিক নয়। একটা বেসরকারি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গেও তুলনা করা যায় না বলে কমিশনকে যুক্তি দিয়ে বোঝানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সকলেই কমিশনের নির্দেশিকা নিয়ে বলেছেন। আমরাও বলেছি, এটা মূলত ২-৩ বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তাই তাদের এটা মিটিয়ে নেওয়া উচিৎ। অনেকেই বলছিলেন, তাঁদেরও কর্মীদের বেতন দিতে হয়। কিন্তু আমরা মনে করি এ ক্ষেত্রে ৩ হাজারের একটা টেস্ট সাড়ে ৩ হাজার টাকায় করিয়ে ৫০০ টাকার জন্য হাসপাতালের বিশেষ কোনও কিছু উপকার হওয়ার কথা নয়। এদিকে রোগী মারা গেলে টাকার অভাবে মৃতদেহ নিতে পারেন না অনেকে। হাসপাতালের উচিৎ আগে এ দিকটা দেখা। যাতে মানুষ সাধ্যের মধ্যে থেকে প্রিয়জনের চিকিৎসা করাতে পারেন।” আরও পড়ুন: অপরাধ দমন শাখার লোগো, হুটার লাগানো গাড়ি! পুলিশের জালে আরও এক ভুয়ো আধিকারিক

 

Next Article