Mamata Banerjee: বলতে বাধ্য হচ্ছি, এবার আরএসএস-ও…: মমতার খোলা চিঠি

Mamata Banerjee: চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "প্ররোচনার সূত্রে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটিকে এরা ব্যবহার করছে। ব্যবহার করছে বিভেদের রাজনীতি করার জন্য। এরা 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল'-এর খেলা খেলতে চায়। এ খেলা বিপজ্জনক।"

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Apr 19, 2025 | 11:39 PM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা: রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে ফের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে এবার খোলা চিঠি লিখলেন। আর সেই চিঠিতে বিজেপির পাশাপাশি আরএসএস-কে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীকে ধীর ও শান্ত থাকার আবেদন জানালেন। হিংসার পিছনে যারা রয়েছে, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।

রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে শান্তির আবেদন জানিয়ে এদিন খোলা চিঠি লেখেন মমতা। চিঠির প্রথমেই বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, “বিজেপি এবং তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএস-ও আছে। আমি আগে আরএসএসএর নাম নিইনি, কিন্তু এবার বাধ্য হয়েই বলতে হচ্ছে যে, রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্যার প্রচার চলছে তার মূলে তারাও আছে।”

এরপরই তিনি লেখেন, “প্ররোচনার সূত্রে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটিকে এরা ব্যবহার করছে। ব্যবহার করছে বিভেদের রাজনীতি করার জন্য। এরা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’-এর খেলা খেলতে চায়। এ খেলা বিপজ্জনক।”

তিনি দেশ ও রাজ্যকে ভালবাসেন জানিয়ে মমতা লেখেন, “আমার আবেদন হল: দয়া করে ধীর ও শান্ত থাকুন। আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা করি এবং তাদের রুখবই। দাঙ্গার পিছনে আছে যে দুর্বৃত্তরা, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু, সেইসঙ্গেই, পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণও আমাদের এড়িতে চলতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, পরস্পরের ব্যাপারে সহমর্মী ও যত্নশীল হতে হবে।”

রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর খোলা চিঠি

রামনবমীর প্রসঙ্গে উল্লেখ করে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আগুনের সঙ্গে খেলা করার জন্য ওরা প্রথমে রামনবমী দিনটিকেই বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রামনবমী উদযাপন হয় খুবই শান্তিপূর্ণভাবে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “জীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোই ওদের লক্ষ্য, তাই তারা বিভেদকামী প্রচারের আগুন জ্বালাতে চায়।”

বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের নাম নিয়ে মমতা লেখেন, “উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান-এসব রাজ্যে তো প্রতিবাদ-মিছিল করতেই দেওয়া হয় না। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে তো এমন সংবিধান বিরোধী ব্যবস্থা কায়েম নেই।” উত্তর প্রদেশকে ফের আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “উত্তর প্রদেশে ওরা বুলডোজার চালায়-জন্ম হয় যন্ত্রণার। বিপরীতে আমাদের দেখুন-যে কেউ যখন উৎপীড়িত বোধ করেন, আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই।”

চিঠির শেষে ফের শান্তির আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। লেখেন, “ধীর থাকুন, শান্ত থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন। মিথ্যা সাম্প্রদায়িক প্রচারে বিপথগামী হবেন না। আসুন আমরা মিলেমিশে একজোট হয়ে থাকি এবং ওদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়ি। ওদের গুন্ডামি ও মিথ্যার বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির সমালোচনা করে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পুরো চিঠির ছত্রে ছত্রে বিভাজনের রাজনীতি। উস্কানি প্রথম কে দিয়েছিল?”

 

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা: রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে ফের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে এবার খোলা চিঠি লিখলেন। আর সেই চিঠিতে বিজেপির পাশাপাশি আরএসএস-কে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীকে ধীর ও শান্ত থাকার আবেদন জানালেন। হিংসার পিছনে যারা রয়েছে, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।

রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে শান্তির আবেদন জানিয়ে এদিন খোলা চিঠি লেখেন মমতা। চিঠির প্রথমেই বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি লেখেন, “বিজেপি এবং তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএস-ও আছে। আমি আগে আরএসএসএর নাম নিইনি, কিন্তু এবার বাধ্য হয়েই বলতে হচ্ছে যে, রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্যার প্রচার চলছে তার মূলে তারাও আছে।”

এরপরই তিনি লেখেন, “প্ররোচনার সূত্রে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতটিকে এরা ব্যবহার করছে। ব্যবহার করছে বিভেদের রাজনীতি করার জন্য। এরা ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’-এর খেলা খেলতে চায়। এ খেলা বিপজ্জনক।”

তিনি দেশ ও রাজ্যকে ভালবাসেন জানিয়ে মমতা লেখেন, “আমার আবেদন হল: দয়া করে ধীর ও শান্ত থাকুন। আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা করি এবং তাদের রুখবই। দাঙ্গার পিছনে আছে যে দুর্বৃত্তরা, তাদের কড়া হাতে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু, সেইসঙ্গেই, পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণও আমাদের এড়িতে চলতে হবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে, পরস্পরের ব্যাপারে সহমর্মী ও যত্নশীল হতে হবে।”

রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর খোলা চিঠি

রামনবমীর প্রসঙ্গে উল্লেখ করে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আগুনের সঙ্গে খেলা করার জন্য ওরা প্রথমে রামনবমী দিনটিকেই বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রামনবমী উদযাপন হয় খুবই শান্তিপূর্ণভাবে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “জীবনের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরানোই ওদের লক্ষ্য, তাই তারা বিভেদকামী প্রচারের আগুন জ্বালাতে চায়।”

বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের নাম নিয়ে মমতা লেখেন, “উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান-এসব রাজ্যে তো প্রতিবাদ-মিছিল করতেই দেওয়া হয় না। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে তো এমন সংবিধান বিরোধী ব্যবস্থা কায়েম নেই।” উত্তর প্রদেশকে ফের আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “উত্তর প্রদেশে ওরা বুলডোজার চালায়-জন্ম হয় যন্ত্রণার। বিপরীতে আমাদের দেখুন-যে কেউ যখন উৎপীড়িত বোধ করেন, আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই।”

চিঠির শেষে ফের শান্তির আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। লেখেন, “ধীর থাকুন, শান্ত থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন। মিথ্যা সাম্প্রদায়িক প্রচারে বিপথগামী হবেন না। আসুন আমরা মিলেমিশে একজোট হয়ে থাকি এবং ওদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়ি। ওদের গুন্ডামি ও মিথ্যার বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে।”

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির সমালোচনা করে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পুরো চিঠির ছত্রে ছত্রে বিভাজনের রাজনীতি। উস্কানি প্রথম কে দিয়েছিল?”