
কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বাংলা নববর্ষের আগের দিন কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হতে চলেছে। সোমবার সন্ধে ৭টায় এই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের আগে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন মমতা। ছোটবেলায় তাঁর মায়ের সঙ্গে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার চৈত্র সংক্রান্তিতেই কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করতে চলেছেন তিনি। আগামিকাল এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র তথা নগরোন্নয়ন ও পৌর দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজিপি রাজীব কুমার এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাও এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন।
সোমবার কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের আগে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কালীঘাট মন্দিরে তাঁর যাওয়ার স্মৃতি তুলে ধরেন মমতা। অগণিত ভক্তের মতো মায়ের সঙ্গে তিনিও পুজো দিতে যেতেন বলে জানালেন। এই স্কাইওয়াক মেট্রো ও প্রধান রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত। সেকথা উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, পুণ্যার্থীদের সুবিধা হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকবে না।
কালীঘাট স্কাইওয়াকের পরিকল্পনা অনেকদিনের। ২০১৮ সালে দক্ষিণেশ্বরের আদলে এই স্কাইওয়াক তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। হকার সমস্যা ও নানা জটের জেরে কাজ শুরু ২০২২ সালে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, আঠারো মাসের মধ্যে নির্মাণের কাজ শেষ করে মন্দির সংলগ্ন হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেবে পৌরনিগম। তবে নানা টালবাহানায় সেই আঠারো মাস এসে ঠেকল তিন বছরে। অবশেষে ৮২ কোটি টাকা খরচ করে ‘স্বপ্নের’ স্কাইওয়াক উদ্বোধন হবে বাংলা নববর্ষের আগের দিন।
পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্কাইওয়াকে ওঠা-নামার জন্য রয়েছে মোট তিনটি সিঁড়ি, লিফ্ট ও চারটি চলমান সিঁড়ি। এছাড়াও, দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কালীঘাট মন্দিরের পটচিত্র। সৌন্দর্যায়নের জন্য তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি ডোম বা গম্বুজ। তার সঙ্গেই আবার জুড়ে দেওয়া হয়েছে নজরকাড়া আলোকসজ্জাও।