Covid Update: বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্ট ঘাতক নয়, করোনারও শেষের শুরু, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

Covid19: তবে এখনই সতর্কতা পুরোপুরি ছেড়ে দিলে চলবে না। মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও কাদের জন্য কড়াকড়ি, তাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Covid Update: বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্ট ঘাতক নয়, করোনারও শেষের শুরু, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
করোনা নিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2023 | 4:39 PM

কলকাতা: গত ডিসেম্বরে রাজ্যে চারজনের শরীরে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (Omicron Sub Variant BF.7) ধরা পড়ে। এরপরই রাজ্যজুড়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। চিনে যেভাবে সংক্রমণের ফের বাড়বাড়ন্ত, সেই জায়গা থেকে আশঙ্কা ছড়ায় এবার কি তবে বাংলাতেও নতুন করে মাথাচাড়া দিতে চলেছে করোনার সংক্রমণ? চারজনের মধ্যে তিনজন নদিয়ার বাসিন্দা এবং একই পরিবারের। চতুর্থজনের বাড়ি কলকাতায়। তাঁরা আমেরিকা থেকে এসেছিলেন। চারজনের শরীরে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়লেও স্বস্তি দিয়েছিল অন্য একটি দিক। বিএফ.৭-এ আক্রান্ত এ রাজ্যের চার বাসিন্দার সংস্পর্শে এসেছিলেন ৫৫ জন। কিন্তু তাঁরা সকলেই কোভিড নেগেটিভ বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে তথ্য উঠে এসেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এবার কোভিডের যাওয়ার পালা। ক্রমাগত শক্তি হারাচ্ছে এই ভাইরাস।

চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের মতে, বিএফ.৭ যে অতি দুর্বল স্ট্রেন, এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কোভিড যে এখন শেষের দিকে তাও মোটের উপর স্পষ্ট। দীপ্তেন্দ্র সরকারের কথায়, “ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO জানিয়েছিল, সম্ভবত ২০২৩-এর গোড়ার দিকে অতিমারি শেষ হতে চলেছে। তারা যে এ কথা বলেছে, তার একটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। সম্ভবত বিএফ.৭-এর উপর যে জেনোমিক সার্ভিল্যান্স ও ক্লিনিক্যাল সার্ভিল্যান্স চলছে, সেটা কিন্তু সেই দিক নির্দেশই করছে। অর্থাৎ যারা এই সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের কেউ বড় শারীরিক রোগের শিকার হননি, তাঁরা বাকি লোকেদের ছড়াতে পারেনি। বিএফ.৭ যে আগের ওমিক্রনের তুলনায় অনেক দুর্বল এটা এ থেকে স্পষ্ট।”

তবে একইসঙ্গে চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকারের মত, চারজনের কেস স্টাডি করে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার কোনও মানে নেই। তবে প্রাথমিকভাবে এটা ধরে নেওয়া যেতেই পারে। তাঁর কথায়, ভাইরাস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার শক্তি হারায়। ভ্যারিয়েন্ট, সাব ভ্য়ারিয়েন্টগুলি ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে। বিএফ.৭ তাই ডেল্টা বা ওমিক্রনের তুলনায় ‘একেবারেই অতি রুগ্ন’ একটা স্ট্রেন, তা এটা থেকে পরিষ্কার।

তবে এখনই যে মাস্ককে টা টা করা যাবে না তা স্পষ্ট করে দিলেন দীপ্তেন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, “যাঁদের বয়স বেশি, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা আরও কিছুদিন নিশ্চিতভাবে অপেক্ষা করুন। যতদিন না WHO কোনও বিবৃতি দিচ্ছে, ততদিন মাস্ক ব্যবহার করুন। বাকিরা বিধিসম্মত সতর্কীকরণ মেনে চলবেন। কিন্তু কোভিড যে শেষের পথে এটা কিন্তু পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট ধরে নেওয়াই যায়।” অন্যদিকে মাইক্রোবায়োলজিস্ট ভাস্কর নারায়ণ চৌধুরীর কথায়, কোভিড এখন ন্যাচারাল রেসপিরেটরি ভাইরাসে পরিণত হয়েছে।