Cyber Crime: পেনশনের টাকাতেই ক্যানসারের চিকিৎসা, সাইবার প্রতারণায় সর্বস্ব খুইয়ে ছলছল ধূসর দু’চোখ

Parnashree: ৭৮ বছর বয়সী বাসন্তী চক্রবর্তী এক সময় বিএসএনএলে চাকরি করতেন।

Cyber Crime: পেনশনের টাকাতেই ক্যানসারের চিকিৎসা, সাইবার প্রতারণায় সর্বস্ব খুইয়ে ছলছল ধূসর দু'চোখ
প্রতারিত বাসন্তী চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2022 | 3:36 PM

কলকাতা: ফোনে কোনও ওটিপি আসেনি। অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এমন ঘটনায় কপালে হাত বেহালা সরশুনার বাসিন্দা বাসন্তী চক্রবর্তীর। বাসন্তীদেবী ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। বিএসএনএলে (BSNL) চাকরি করতেন এক সময়। অবসর নেওয়ার পর জমানো টাকায় সংসার খরচের পাশাপাশি চিকিৎসার খরচও চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় গত বছর নভেম্বরে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা খোওয়া যায়। এই তিন মাসে একাধিকবার পর্ণশ্রী পুলিশের কাছে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি কোনওরকম সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। এদিকে এতগুলো টাকা একসঙ্গে খুইয়ে আটকে রয়েছে চিকিৎসাও। চিন্তায় চোখের পাতা এক করতে পারেন না এই বৃদ্ধা। সারা জীবনের পুঁজি এভাবে হারিয়ে কার্যত পথে বসেছেন সরশুনার বাসন্তীদেবী।

ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে। ৭৮ বছর বয়সী বাসন্তী চক্রবর্তী এক সময় বিএসএনএলে চাকরি করতেন। অবসরের পর যা টাকা পয়সা সবটাই তাঁর অ্যাকাউন্টে ছিল। স্বামী নেই বাসন্তীদেবীর। মেয়ের কাছে থাকেন তিনি। মেয়ের বক্তব্য, মায়ের চিকিৎসা মায়ের টাকাতেই হয়। হঠাৎ গত বছর অ্যাকাউন্ট থেকে এতগুলো টাকা উঠিয়ে নেওয়া হয়। কোনওরকম ওটিপি ছাড়াই এই প্রতারণার শিকার হন বৃদ্ধা।

সঙ্গে সঙ্গেই পর্ণশ্রী থানায় গিয়েছিলেন তাঁরা। একইসঙ্গে লালবাজার, সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে যাওয়া দরকার সর্বত্র যান। কিন্তু কিছুতেই কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী বৃদ্ধাকে ব্যাঙ্কের তরফে স্টেটমেন্টও দেওয়া হয় কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা গিয়েছে। এই বৃদ্ধার বক্তব্য, বারবার পুলিশের কাছে গেলেও কোনওরকম সাহায্য করা হচ্ছে না। ‘চেষ্টা করছি’ বলেই হাত তুলে নিচ্ছে পুলিশ। বাসন্তীদেবী বলেন, “আমার হার্টের সমস্যা। প্রেশার, সুগার রয়েছে। ক্যানসার ধরা পড়ায় চারবার অপারেশনও হয়। এটা আমার পেনশনের টাকা। প্রয়োজন মতো তুলি। চিকিৎসার জন্যও খরচ করি। এতগুলো টাকা এভাবে গেল, আমার মনের অবস্থাটা একবার বুঝুন তাহলে।”

বৃদ্ধার আত্মীয় আবেশ দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা পুলিশের ভূমিকায় একেবারেই খুশি নই। আমরা পর্ণশ্রী থানায় বলেছি, ওখানকার ওসি গল্প শোনাচ্ছেন কোথায় কবে কীভাবে উনি টাকা খুঁজে এনেছেন। অথচ আমাদের সাহায্য করতে পারছেন না। ওনার এক একটা পরীক্ষার জন্য ২৪-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ওনার যেহেতু এতটা বয়স মেডিক্লেমের আওতায়ও আনা যায়নি। সঙ্গে ক্যানসার।”

আরও পড়ুন: Sonarpur Case: দোল খেলতে বাড়িতে ডেকেছিলেন প্রেমিক, নেশার রং লাগতেই জঘন্য ঘটনা ঘটালেন তরুণীর সঙ্গে…

আরও পড়ুন: WB Minister Firhad Hakim: গুলি-কার্তুজ না থাকলে তো পুলিশ, আদালত উঠে যাবে; আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ হাকিম

আরও পড়ুন: Sonarpur Case: দোল খেলতে বাড়িতে ডেকেছিলেন প্রেমিক, নেশার রং লাগতেই জঘন্য ঘটনা ঘটালেন তরুণীর সঙ্গে…