WB Minister Firhad Hakim: গুলি-কার্তুজ না থাকলে তো পুলিশ, আদালত উঠে যাবে; আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ হাকিম
Firhad Hakim: বিভিন্ন মহলের তরফে ইতিমধ্যেই বলা হচ্ছে, ফিরহাদ হাকিম একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি চাইলে পুলিশকে আরও কড়া হওয়ার কথা বলতে পারতেন, পুলিশকে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা বলতে পারতেন।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “একটা, দু’টো ঘটনা হতেই পারে। আমরা তো বারবারই সে কথা বলি। যদি এমন হয় কোথাও গুলি চলবে না, কোনও দুষ্কৃতী থাকবে না, তা হলে তো পুলিশই উঠে যাবে। তা হলে তো আদালতই উঠে যাবে। অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক ভাল আছি আমরা। কিন্তু বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে শার্প শুটার আসবে না, গুলি আসবে না, বোমা আসবে না সেভাবে সীমানা আটকানো যায় নাকি দেশের মধ্যে? দেশের সীমান্তে যেভাবে তল্লাশি করি, দেশের ভিতর রাজ্যগুলির সীমানায় তা কি করা যায়? তাই এগুলি হবেই। তবে আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। পুলিশও যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাতে এই সাহসটা আর কেউ না পায়।”
এরই পাল্টা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সংবিধানের শপথ নেওয়া একজন মন্ত্রী যখন এ কথা বলেন, তা বুঝিয়ে দেয় আইনের শাসন কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষের তা বুঝতে কোনও অসুবিধা নেই। উনি ঠিকই তো বলেছেন, বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে অস্ত্র আসছে। আসলে আসলে উত্তর প্রদেশের আইনশৃঙ্খলা এখন এতটাই কড়া, শার্প শুটার হয় রাজ্যের বাইরে কিংবা জেলে বা স্বর্গবাসী হয়েছেন। পুলিশ সেভাবেই ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু সেই অস্ত্রগুলোয় তো জং ধরে যাচ্ছে। ওখানে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পরিত্যক্ত বোমা গুলি বন্দুক হয়ত ওখান থেকে আসছে। তৃণমূল তো প্রার্থীও আনছে। আসানসোলে তো দেখাই গেল।”
বিভিন্ন মহলের তরফে ইতিমধ্যেই বলা হচ্ছে, ফিরহাদ হাকিম একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি চাইলে পুলিশকে আরও কড়া হওয়ার কথা বলতে পারতেন, পুলিশকে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা বলতে পারতেন। সেখানে তিনি ‘পুলিশ, আদালত’ উঠে যাওয়ার যে তত্ত্ব দিলেন তা নিঃসন্দেহে বিস্ফোরক।
আরও পড়ুন: Sonarpur Case: দোল খেলতে বাড়িতে ডেকেছিলেন প্রেমিক, নেশার রং লাগতেই জঘন্য ঘটনা ঘটালেন তরুণীর সঙ্গে…