Bratya Basu: ‘বিকাশ-কৃশানুর সেটিং’, অভিজিৎকে আক্রমণ করতে গিয়ে কী বললেন ব্রাত্য?
Bratya Basu: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিচারপতি ছিলেন, তখন রাজনীতিকের মতো কথা বলতেন। বিরোধীরা যেমন বলে থাকে।"

কলকাতা: চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অফিসে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এও বলছেন, রাজনৈতিক কারণেই যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি সাংসদের এসএসসি অফিসে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিচারপতি ছিলেন, তখন রাজনীতিকদের মতো কথা বলতেন। আর এখন রাজনীতিতে এসে বিচারপতিদের মতো কথা বলছেন।”
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই উঠেছিল এসএসসি-র ২০১৬ সালের নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ‘বেআইনি’ নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যোগ-অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পৃথক করতে না পারায় ২০১৬ সালের এসএসসি-র পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী।
এদিন চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অফিসে যান তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের দেখা পাননি তিনি। যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা বের করা সম্ভব।
এই নিয়ে কটাক্ষ করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন বিচারপতি ছিলেন, তখন রাজনীতিকের মতো কথা বলতেন। বিরোধীরা যেমন বলে থাকে। এই যেমন, প্যানেল বাতিল করে দিন, চাল-কাঁকর আলাদা করা যাচ্ছে না। আর এখন রাজনীতিতে এসে বিচারপতিদের মতো কথা বলছেন। এই যেমন, যোগ্য-অযোগ্য নির্ধারণ করা উচিত, একটি কমিটি গড়া উচিত।”
সুপারনিউমেরারি পোস্ট নিয়ে হাইকোর্টের রায় এদিন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেছে। একে সত্যের জয় বলে বর্ণনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “স্থানীয় লিগে আমরা দেখি, বিকাশ পাশ বাড়ায়, কৃশানু গোল করে। স্থানীয় লিগে দু’জনের এত ভাল সেটিং। কিন্তু, জাতীয় লিগে গিয়ে দেখা যায়, হয়তো কৃশানু পেশা বদলেছে, কিংবা অবসর নিয়েছে। তখন বিকাশ এত মাইনাস করছে, কেউ গোল করতে পারছে না। বিকাশের এখন কী করা উচিত? স্থানীয় পল্টু বসুদের বলা উচিত, যেন অন্তত একটা চিমা মোতায়েন করে।”
২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক ফলাফল কবে বের হবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যথা সময়েই মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল বেরোবে। পর্ষদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।”

