AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tramways of Kolkata: ‘চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন…’ আজ বেমানান, গতির শহরে ধীরগতির নস্টালজিয়া আর চাইছে না রাজ্য!

Trams of Kolkata: রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "অতীতে কলকাতা-সহ দেশের প্রায় ১৫টি শহরে ট্রাম চলত। এখন একমাত্র কলকাতা ছাড়া সব শহরে ট্রাম উঠে গিয়েছে। আমার কাছেও আবেগ আছে। কলকাতার সব রাস্তায় ট্রাম চললে আমার ভাল লাগত। পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে, কলকাতায় যান চলাচলে যাতে কোনও বিঘ্ন না হয়।"

Tramways of Kolkata: 'চল রাস্তায় সাজি ট্রাম লাইন...' আজ বেমানান, গতির শহরে ধীরগতির নস্টালজিয়া আর চাইছে না রাজ্য!
কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রামImage Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2023 | 9:36 AM
Share

কলকাতা: শহর তিলোত্তমার অন্যতম ঐতিহ্য ট্রাম। কিন্তু এখনকার গতিময় শহরের সঙ্গে ঠিক পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না ঐতিহ্যবাহী ট্রাম। ধীরগতির ট্রাম রাস্তাঘাটে অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারছে না। ফলে, ট্র্যাফিকও সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের। এমন অবস্থায় তাই ট্রাম বন্ধ করে দিতে চাইছিল রাজ্য। আর তাতেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কেবল ধীর গতি ট্রামকে বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। সমাধানসূত্র বের করার জন্য গঠনমূলক আলোচনার কথাও বলেছিল আদালত। ট্রাম নিয়ে রাজ্যের কী নীতি, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আর এরপরই শুক্রবার ত্রিপাক্ষিক আলোচনা বসে কলকাতা পুরনিগমে। বৈঠকে ছিল, পুরনিগম, রাজ্য ও পুলিশ।

মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ পুলিশের অন্যান্য পদস্থ কর্তারা আলোচনায় বসেন। ট্রামের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হয় গতকালের বৈঠকে। আদালতে কী রিপোর্ট দেওয়া হবে, তৈরি হয় ব্লু প্রিন্ট। আদালতের নির্দেশ রয়েছে, কীভাবে ট্রামকে আরও আধুনিক করে ছন্দে ফেরানো যায়, সেই বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য। বৈঠক শেষে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর গলাতেও ট্রামকে আকর্ষনীয় করে তোলার কথা উঠে এল।

রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “অতীতে কলকাতা-সহ দেশের প্রায় ১৫টি শহরে ট্রাম চলত। এখন একমাত্র কলকাতা ছাড়া সব শহরে ট্রাম উঠে গিয়েছে। আমার কাছেও আবেগ আছে। কলকাতার সব রাস্তায় ট্রাম চললে আমার ভাল লাগত। পাশাপাশি এটাও মাথায় রাখতে হবে, কলকাতায় যান চলাচলে যাতে কোনও বিঘ্ন না হয়।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “সব দিক নিয়ে আলোচনার পরই একটি সিদ্ধান্ত সরকার নেবে। সেই মতো আদালতকে জানানো হবে, কতটুকু জায়গায় ট্রাম চালানো যাবে, কতটুকু জায়গায় ট্রাম চালানো যাবে না। তবে এটুকু বলতে পারি, ট্রাম উঠে যাচ্ছে না। কিন্তু এমন নয়, যে অনেক রুটে ট্রাম চলবে।”

পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান,পরিবেশের কথা অবশ্যই মাথায় রাখা হচ্ছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে বৈদ্যুতিন গাড়ির দিক থেকে কলকাতা দেশের যে কোনও শহরের থেকে এগিয়ে আছে। কিন্তু, ট্রামের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। কলকাতায় রাস্তার যে জমি আছে, তা মোট জমির ৫-৬ শতাংশ। মহারাষ্ট্র বা দিল্লিতে রাস্তার জন্য বরাদ্দ জমি অনেকটা বেশি। যানজটমুক্ত শহর হিসেবে ভারতে এক নম্বরে কলকাতা। সব দিক আলোচনা করে আমাদের নীতির কথা আদালতে জানানো হবে।