Calcutta High Court: ফেব্রুয়ারিতে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ চায় রাজ্য, শুনে হাইকোর্ট বলল…

Chingrighata metro construction: আরভিএনএলের আইনজীবী দাবি করেন, "মাত্র তিন দিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।" রাজ্যের তরফে বলা হয়, "দশকের পর দশক ধরে মেট্রোর কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে RVNL-এর অসুবিধা কোথায়?"

Calcutta High Court: ফেব্রুয়ারিতে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ চায় রাজ্য, শুনে হাইকোর্ট বলল...
ফাইল ফোটোImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 19, 2025 | 12:09 PM

কলকাতা: থমকে রয়েছে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ। কবে কাজ শুরু হবে? অনেকদিন থেকেই এই প্রশ্ন উঠছে। আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় বৈঠকের পরও মেলেনি রফাসূত্র। এই আবহে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানাল, ফেব্রুয়ারিতে ওই এলাকায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করা যেতে পারে। অন্যদিকে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) দাবি, তিনদিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ শেষ করা যাবে।

এদিন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ নিয়ে মামলার শুনানি হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৭ ডিসেম্বর সব পক্ষ দ্বিতীয় বৈঠকে বসেছিল। সেই বৈঠকে অবশ্য কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। এদিন মামলার শুনানিতে আরভিএনএলের আইনজীবী বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনও এক সময় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে বৈঠকে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি দাবি করেন, “মাত্র তিন দিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।”

এরপর রাজ্যের তরফে বলা হয়, “দশকের পর দশক ধরে মেট্রোর কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে RVNL-এর অসুবিধা কোথায়?” এদিকে, গত ১৭ ডিসেম্বরে বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। এদিন জানান, বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

দুই পক্ষের সওয়াল শেষে এদিন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, জানুয়ারি মাসে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ করা সম্ভব কি না, আগামী সোমবার জানাক রাজ্য। সোমবার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, চিংড়িঘাটায় মেট্রোর ৩৬৬ মিটার অংশ জোড়া নিয়েই যত সমস্যা। ওই অংশের জন্য আটকে আছে অরেঞ্জ লাইনের পূর্ণ পরিষেবা।