কলকাতা ও নয়া দিল্লি: রাজ্যের পাওনা-গন্ডা, বিশেষ করে বকেয়া টাকার ইস্যুতে কেন্দ্রকে আগেই ডেডলাইন জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বকেয়া না মেটানো হলে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২ তারিখ, অর্থাৎ আগামিকাল থেকেই তিনি আবার ধরনায় বসতে চলেছেন। রাজ্যের বকেয়া ইস্যুতে যখন বার বার কেন্দ্রকে বিঁধছে মমতার সরকার, তখন বকেয়া ইস্যু নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পাশাপাশি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনা নিয়েও শাহি দরবারে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল বোস। অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলায় নিজের পূর্বসূরি তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে এর আগেও ভুক্তভোগীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ফিরে এসে রাজভবনের বাইরেও ধরনায় বসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে এর আগে রেড রোডে দু’দিনের অবস্থানে বসেছিলেন। এবার আগামিকাল থেকে যখন মুখ্যমন্ত্রী আবার ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তখন শাহি দরবারে বোসের বৈঠকে কোনও জট কাটার ইঙ্গিত কি মিলল?
অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর অবশ্য বেশ আশার কথা শোনালেন রাজ্যপাল বোস। এক ভিডিয়ো বার্তায় রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘সাধারণত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কী কথা হয়েছে, তা জনসমক্ষে আনা উচিত নয়। কিন্তু আমি মানুষের উদ্বেগের কথা বুঝি। কেন্দ্রীয় সরকার যে শর্তগুলির কথা বলছে, সেগুলি রাজ্যের তরফে পূরণ হয়ে গেলে রাজ্যবাসীর যে বকেয়া আছে, তা অবশ্যই দিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের তরফে যেসব প্রশ্নগুলি করা হয়েছিল, সে বিষয়ে রাজ্য সরকার গত কয়েকমাসে নিজেদের উত্তর দিয়েছে। আমিও নিজের স্তরে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি দেখছে। বাংলার মানুষকে ন্যায় দিতে যা করার দরকার, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই করবে।’