CV Ananda Bose: ‘জলতরঙ্গ’-এ জনসংযোগ রাজ্যপালের, দোকান থেকে চপ, ছোলা সেদ্ধ খেলেন বোস

Governor CV Ananda Bose visits villages: জলতরঙ্গ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আননন্দ বোস টিভি৯ বাংলাকে বলেন, "সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই মানুষের কাছে পৌঁছতে চেয়েছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের অনুভূতি জানব। তাঁদের সমস্যার কথা জানব। তাঁরা কী সমাধান চাইছেন, সেটাও শুনব।"

CV Ananda Bose: জলতরঙ্গ-এ জনসংযোগ রাজ্যপালের, দোকান থেকে চপ, ছোলা সেদ্ধ খেলেন বোস
চপ খেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 21, 2025 | 11:31 AM

কলকাতা: গঙ্গার পাশের গ্রামগুলি কেমন আছে? সেখানকার বাসিন্দারা কেমন আছেন? সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতে চান। তাই নতুন কর্মসূচি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। ‘জলতরঙ্গ’ নামে ওই কর্মসূচিতে শুক্রবার একাধিক এলাকায় পৌঁছে গেলেন তিনি। কথা বললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। দোকান থেকে চা, চপ ও ছোলা সেদ্ধ খেলেন। প্রশংসাও করলেন।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে ৩ বছর পূর্ণ হয়েছে সিভি আনন্দ বোসের। ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন তিনি। আর তিন বছর পূর্তিতে রাজ্যপাল বোস গঙ্গা তীরবর্তী এলাকাগুলি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন। কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক গার্ডের যে জেটি ঘাট রয়েছে, সেখান থেকে এদিন রাজ্যপাল বোটে করে রওনা দেন। এদিন মোট তিনটি জায়গা যাবেন সিভি আনন্দ বোস। নাজিরগঞ্জ, সাঁকরাইল এবং বজবজ। প্রথমে নাজিরগঞ্জে পৌঁছন তিনি।

নাজিরগঞ্জে প্রথমে একটি দোকানে ছোলা সেদ্ধ ও চপ খান রাজ্যপাল। প্রথমে ছোলা খেয়ে বাংলায় রাজ্যপাল বলেন, “ছোলা খুব ভাল আছে।” এরপর চপ খেয়ে দোকানদারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, “বহুত আচ্ছা। ভাল আছে।” দোকানদারকে হাতজোড় করে নমস্কার করে এগিয়ে যান রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস তাঁর দোকানে ছোলা সেদ্ধ, চপ খাওয়ায় খুশি দোকানদার কল্পনা দুয়ারী। তিনি বলেন, “ছোলা সেদ্ধ ও চপ দিয়েছি। ভাল হয়ে বলেছেন।” এরপর একটি দোকানে চা পান করেন রাজ্যপাল। দোকানদার সনাতনী পাত্র বলেন, “এক কাপ চা খেয়েছেন। আমার নাম জিজ্ঞাসা করলেন। আমার দোকানে চা খাবেন, ভাবতে পারিনি। কতদিন দোকান রয়েছে, জানতে চাইলেন।”

চা খেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

জলতরঙ্গ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আননন্দ বোস টিভি৯ বাংলাকে বলেন, “সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই মানুষের কাছে পৌঁছতে চেয়েছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের অনুভূতি জানব। তাঁদের সমস্যার কথা জানব। তাঁরা কী সমাধান চাইছেন, সেটাও শুনব। এটা আমার কাছে শিক্ষণীয় বিষয়। আমি বাংলার আত্মাকে জানতে চাই। আর বাংলার আত্মা রয়েছে গ্রামে। সেইজন্য সেখানে যাচ্ছি।”

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্যে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে আনন্দ বোস বলেন, “তৃণমূল মানে গ্রাস রুট। আর গ্রাস রুট মানে সাধারণ মানুষ। আমি সেই তৃণমূলের কাছে যাচ্ছি। এতে অসুবিধার কী রয়েছে।” রাজনীতির জন্যই বিরোধিতা করা হচ্ছে জানিয়ে রাজ্যপাল স্পষ্ট করে দেন, “আমি রাজনীতিক নই।”