কলকাতা : রাজভবনও চাইছে রাজ্যের সব পৌর এলাকাগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন হোক। আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ক্ষমতার কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল। ২৪৩ কে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ধারা। কেন তা প্রয়োগ করছেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশন? বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।
আজ রাজভবনে প্রায এক ঘণ্টা ধরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। বৈঠকে রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন, কমিশন যাতে নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তারা যেন কখনোই নিজেদের রাজ্য সরকারের এক বর্ধিত অংশ হিসেবে মনে না করে।
During hour long meeting with WB State Election Commissioner @MamataOfficial Shri Sourav Das, Governor Shri Jagdeep Dhankhar emphasised that SEC in its authority was at par with the ECI and it should be non partisan, independent and effective and not extension of govt. pic.twitter.com/T1JF8lmsYo
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 23, 2021
বিরোধীরা আগে থেকেই রাজ্যের সব পৌর এলাকায় একসঙ্গে নির্বাচনের পক্ষে জোরালো সওয়াল তুলে আসছিলেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও আজ সেই একই প্রশ্ন তোলেন, কেন সব এলাকায় একসঙ্গে ভোট নয়? এই নিয়ে রাজ্য কমিশন অবশ্য বলেছে, এমনটা হলে টিকাকরণের গতির উপর তার প্রভাব পড়তে পারে। আর সবথেকে বড় যে সমস্যাটা রয়েছে, তা হল রাজ্যের সব পৌর এলাকায় একসঙ্গে নির্বাচন করানোর জন্য যতগুলি ইভিএমের প্রয়োজন হবে, তত ইভিএম মেশিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। আর সেই কারণেই এই মুহূর্তে রাজ্যের সব পৌর এলাকায় একসঙ্গে নির্বাচন করানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বরই হাওড়া ও কলকাতায় পুরভোট করতে চায় রাজ্য। বিজেপির দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হলফনামায় রাজ্য সরকারের যুক্তি, কলকাতায় ৮৫ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। হাওড়ায় দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা পেয়েছেন ৫৫ শতাংশ মানুষ। তাই এই দুই পুরসভার ভোট প্রথম দফায় করতে চায় রাজ্য। এর পর আলোচনার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে ভোট করবে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কলকাতা হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করে বিজেপি। সেখানে তারা জানায়, কেন শুধুমাত্র কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোট করাতে চাইছে রাজ্য সরকার? কেন বাকি পুরসভাগুলিতে এখনই ভোট করানো হবে না। প্রধান বিচারপতির এজলাসে গত ১৬ নভেম্বর সেই মামলা ওঠে।
সেদিন শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টে কমিশনের আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যে ভোট নিয়ে মামলা চলছে। তাই মামলা চলাকালীন কোনওরকম ভোটের বিজ্ঞপ্তি কমিশন জারি করবে না। এরপরই আদালত রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেয়।