AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC Recruitment: চাপ বাড়ছে! গ্রুপ-ডি নিয়োগ মামলায় দিল্লি সিবিআই দফতর থেকে চাওয়া হল রিপোর্ট

CBI: এসএসসি দিয়ে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ। তাতেই প্রবল দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা।

SSC Recruitment: চাপ বাড়ছে! গ্রুপ-ডি নিয়োগ মামলায় দিল্লি সিবিআই দফতর থেকে চাওয়া হল রিপোর্ট
কয়লাপাচার কাণ্ডে তদন্তে সিবিআই। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 12:45 PM
Share

কলকাতা: স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় সোমবারই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই দিল্লির হস্তক্ষেপের আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। সেখান থেকে আসছে নির্দেশ। তবে মঙ্গলবারই সিবিআই কোনও কমিটি গঠন করছে না। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এই মামলা সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করবে সিবিআই। একই সঙ্গে কমিটিতে কোন কোন আধিকারিক থাকতে চান, ইচ্ছুক অফিসারদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশের পরই দিল্লি থেকে কলকাতায় সিবিআইয়ের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট তলব করা হয় বলে সূত্রের খবর।

এসএসসি দিয়ে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের ঘটনা। তাতেই প্রবল দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রেখেও তাই এই দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সোমবারই হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেয়। সিবিআই কমিটি গঠন করে এই অনুসন্ধান করুক, নির্দেশ আদালতের।

সেই নির্দেশ অনুযায়ী, প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ধীরে সুস্থে সমস্ত নথি গুছিয়ে তারপরই অনুসন্ধানে নামছে সিবিআই। কারণ, অনুসন্ধানে নামার পর খুব একটা সময় তাদের হাতে থাকবে না। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতকে জমা দিতে হবে।

২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা গিয়েছে। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। এরপর দেখা যায়, নিয়োগ দুর্নীতির তালিকায় ২৫ নয়, ৫০০ জনের কাছাকাছি নাম রয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবারই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানায় রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার বোর্ড, কমিশন এবং রাজ্য এই আবেদন জানায়। বুধবার বেলা তিনটেয় সিবিআইয়ের হাতে আদালত থেকে কাগজপত্র যাবে। রাজ্যের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে, এই নথি হস্তান্তরের আগেই যেন ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।

সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নিয়োগ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে বোর্ড ও কমিশনকে। একদিকে কমিশন দাবি করেছিল, তাদের কোনও সুপারিশে নিয়োগ হয়নি। অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি ছিল, তাদের হাতে কমিশনের সুপারিশ


সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আছে। আদালতকে হলফনামা আকারে তা জানানোও হয়। এরপরই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের দুই সংস্থা যখন দু’রকম কথা বলছে, তখন এর একটা যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন। সে কারণেই সিবিআইকে অনুসন্ধানের নি ছর্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: Congress Leader Kirti Azad: মমতা দিল্লিতে পা রাখতেই কংগ্রেসে ভাঙনের জল্পনা! এবার ঘাসফুলে যোগ দিতে পারেন কীর্তি আজাদ