কলকাতা : বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ডের ইস্যুতে এবার রাজ্যপাল – স্পিকার সংঘাত। সাতজন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড কেন? বিধানসভা সচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও রাজ্যপালের সেই চিঠি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। তবে বিমান বাবুর মন্তব্য. রাজভবনে গিয়ে বিজেপি বিধায়কদের লাভ হবে না। বগটুই হত্যাকাণ্ডের আঁচে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভার অধিবেশন। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন, বিজেপি-তৃণমূল বিধায়করা। সেদিনের অনভিপ্রেত ঘটনায় দু’পক্ষেরই বিধায়করাই, আহত হয়েছিলেন। ঘটনার জেরে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাা সহ সাত বিধায়ককে।
যেদিন বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল, সেদিনই সন্ধ্যায় সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সাসপেনশন তোলার দাবি নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের সাসপেনশন করা এবং তারপর ওই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাও স্মরণ করিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে শুক্রবার সূত্র মারফত জানা যায়, সাসপেনশনের কারণ জানতে চেয়ে বিধানসভার সচিবালয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যা নিয়ম আছে, আমি তাদের তা জানিয়ে দিয়েছি। কী তাঁদের অধিকার খর্ব হল, সেই সব জানিয়ে দিয়েছি। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে কোনও সমাধান হবে না।”
সাম্প্রতিক অতীতে বিধানসভার কার্য বিবরণী নিয়ে রাজভবনে রিপোর্ট কিংবা রাজভবনে বিল আটকে থাকার অভিযোগ। আগে নানা ইস্যুতে রাজ্যপাল-স্পিকার সংঘাতের ছবি দেখা গিয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার উদ্যোগে, স্পিকার কনফারেন্সে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। আবার বিধানসভা চত্বরে স্পিকারের সামনে দাঁড়িয়েই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, পুরনো সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিজেপি-র বিধায়কদের সাসপেনশন।
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre: কী হয়েছিল অভিশপ্ত সেই রাতে? উত্তর খুঁজতে পুলিশ-দমকলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ