বাড়ছে বার-রেস্তোরাঁ ও দোকানপাট খোলার সময়সীমা, নতুন নির্দেশিকায় আরও ছাড় নবান্নর

কলকাতা: নাইট কার্ফুর ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হয়েছিল গতকালই। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারির মাধ্যমে নতুন করে রাজ্য সরকার বিধিনিষেধে আরও কিছু ছাড়পত্র দিল। নতুন নির্দেশিকায় আরও শিথিল করে জানানো হল, এখন থেকে রাজ্যে দোকানপাট, বার-রেস্তোরাঁ রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে। আগে এই ছাড় ছিল রাত ৮টা পর্যন্ত। ১৫ অগস্ট থেকে এই শিথিলতা বলবৎ হবে। যদিও রাত সাড়ে ১০ টার পর কোনও ভাবেই বার-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না বলে জানিয়েছে নবান্ন। কারণ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত এখনও কার্যকর থাকছে নাইট কার্ফু।

নবান্নে বসে গতকালই একাধিক বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণায় লোকাল ট্রেন চালু করা নিয়ে কোনও আশার কথা তিনি শোনাননি। তবে জানান যে, ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বিধির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে রাতের বিধির সময় কমিয়ে রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত করা হয়। শুক্রবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে কোভিড বিধি অনুসরণ করে আউটডোরে সরকারি অনুষ্ঠান করা যাবে। একই সঙ্গে সিনেমা হল, প্রেক্ষাগৃহ, থিয়েটার-সহ সুইমিং পুল এবং খেলার স্টেডিয়াম ৫০ শতাংশ দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে খোলা যাবেন।

কিন্তু লোকাল ট্রেন এখনও কেন চালু করছে না রাজ্য সরকার? এই নিয়ে গতকাল সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনেকে আমায় প্রশ্ন করছেন, লোকাল ট্রেনটা কেন চলছে না? এর কারণ হচ্ছে, ভ্যাকসিনটা আমি যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে পুরো না দিতে পারব, তাহলে এর (করোনার) প্রকোপ তো বাড়বে। এখন থেকেই তো (তৃতীয় ঢেউ) কন্ট্রোল করতে হবে। আমি জানি সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে যারা কলকাতায় আসতে চায়। সেই জন্য বাস-অটো সব চালু করে দেওয়া হয়েছে”।

পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, “সমস্যা একটাই। সেপ্টেম্বরে যেহেতু থার্ড ওয়েভ আসার কথা রয়েছে, তাই আমাদের এটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হচ্ছে। যারা লোকাল ট্রেনে আসতে পারছেন না জানি তাঁদের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু আপনার জীবনের থেকে তো বেশি দামি কিছু নয়। তাই আরও কয়েকটা দিন আমাদের কষ্ট করতে হবে বন্ধু। আমরা চেষ্টা করছি টিকাকরণ যাতে বাড়ানো যায়। কলকাতার কাছাকাছি জেলাগুলোতে যদি ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিনও দিয়ে দিতে পারি, তাহলে লোকাল ট্রেন চালু করে দেব আমার কোনও সমস্যা নেই।”

মূলত তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কারণেই যে লোকাল ট্রেন এখনও জনসাধারণের জন্য চালু হচ্ছে সেটা কার্যত এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সবই তো চলছে। কিন্তু লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে আমরা আরও কিছুদিন সময় নিচ্ছি কারণ আমাকে তৃতীয় ঢেউটা আটকাতে হবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বাচ্চারা তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা হয়তো বললাম নিয়ম মেনে যান। কিন্তু দেখা যাবে আরও গাদাগাদি করে সবাই চলে গেল। সুতরাং আরও ১৫ দিন, অর্থাৎ অগস্টের ৩০ তারিখ পর্যন্ত লোকাল ট্রেনের বিধিনিষেধ চালু থাকবে।” আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে পারে সিপিএম? সম্ভাবনা নস্যাৎ না করে সীতারাম বললেন…