AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jhalda Councillor Murder: তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যুরও CBI তদন্ত হোক, চান পূর্ণিমা

Purulia: তপন কান্দুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা চোখের সামনে দেখেছিলেন নিরঞ্জন। তপনকে দীর্ঘদিন ধরে চিনতেনও তিনি।

Jhalda Councillor Murder: তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যুরও CBI তদন্ত হোক, চান পূর্ণিমা
তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2022 | 1:08 PM
Share

কলকাতা: পুরুলিয়ার ঝালদার (Jhalda) কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। এবার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুরও সিবিআই তদন্ত চাইলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদেরও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চান তপনের স্ত্রী। এই দুই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চাইলেন ঝালদা পুরসভার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশ ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করলেও নিহতের পরিবার তাতে খুশি ছিল না। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধেই তাদের যাবতীয় অভিযোগ। এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত শুরুও হয়। এরইমধ্যে তপন কান্দুর খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয় দেহের পাশ থেকে। সেখানে মানসিক চাপের কথা উল্লেখ করা ছিল। পুলিশের বিরুদ্ধেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলে পরিবার।

তপন কান্দুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা চোখের সামনে দেখেছিলেন নিরঞ্জন। তপনকে দীর্ঘদিন ধরে চিনতেনও তিনি। নিরঞ্জনের দাদার অভিযোগ ছিল, ঝালদার কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর বারবার পুলিশ তাঁর ভাইকে ডেকে পাঠিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানায় বসে থাকতে হয়েছে। এই সমস্ত কিছুতে মানসিক চাপ বোধ করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তা থেকে মুক্তি পেতেই এই চরম সিদ্ধান্ত বলেও দাবি করে নিরঞ্জনের পরিবার। এবার তাঁর মৃত্যুর তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন পূর্ণিমা কান্দু।

অন্যদিকে ঝালদাকাণ্ডে সিটের তদন্তে এই ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কে জয়ী হবে তা নিয়ে তপন কান্দু ও নরেন কান্দুর মধ্যে একটা বাজি ধরার ঘটনা। অভিযোগ, ১০ লক্ষ টাকার বাজিতে দু’জনই ৫ লক্ষ টাকা দেন। জেতার পর তপন তা পান। সিবিআই জানার চেষ্টা করছে তপনের মৃত্যুর সঙ্গে এই বিষয়ের আদৌ কোনও যোগ আছে কি না। তপন-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরের সঙ্গে সিবিআই কথাও বলছে। আরও একটি বিষয় সিবিআই জানতে পেরেছে বলে সূত্রের দাবি। গত কয়েক বছর ধরে নতুন ব্যবসায় নেমেছিলেন তপন। ঝাড়খণ্ডের একটি সংস্থার মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছিল সাইটের।

আরও পড়ুন: Hanskhali Minor Girl Assault: হাঁসখালির নৃশংসতার প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার বনধ বিজেপির