Hanskhali Minor Girl Assault: হাঁসখালির নৃশংসতার প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার বনধ বিজেপির
Crime News: কিছুদিন আগে এলাকার এক বন্ধুর জন্মদিনে গিয়েছিল এলাকার এক কিশোরী। রাতে সেখান থেকে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে।
নদিয়া: কিশোরী-মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার হাঁসখালি বনধ ডেকেছে বিজেপি। সকাল থেকে রাস্তাঘাটে গাড়ি কম। লোকজনও অন্যান্য দিনের তুলনায় কমই রাস্তায়। এদিনই আবার বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল যাচ্ছে নিহত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। থাকবেন এলাকার বিধায়ক আশিস বিশ্বাসও। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেন। তৃণমূল নেতার ছেলে তিনি। সোমবার হাঁসখালিতে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর থানায় যাবেন। মহিলাদের নিরাপত্তা ও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশকে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। এদিনই হাঁসখালি যাচ্ছে বামেদেরও মহিলা প্রতিনিধিদের একটি দল। রবিবার বিকেলে তল্লাশিতে নামে হাঁসখালি থানার পুলিশ। রাতভর চলে ধরপাকড়। এসডিপিও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও রানাঘাটের পুলিশ সুপার এলাকা পরিদর্শন করেন। অভিযুক্তদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন পুলিশ সুপার সায়ক দাস। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
কী ঘটেছে হাঁসখালিতে
কিছুদিন আগে এলাকার এক বন্ধুর জন্মদিনে গিয়েছিল এলাকার এক কিশোরী। রাতে সেখান থেকে ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। যদিও সেখানে নিয়ে গিয়ে কোনও লাভ হয়নি। সেই রাতেই মারা যায় কিশোরী। রাতেই তার বাড়ির কাছে একটি শ্মশানে দাহ করা হয় মৃতদেহ। এরপরই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসতে শুরু করে। জানা যায়, মৃত্যুর শংসাপত্র ছাড়াই ওই নাবালিকার মৃতদেহ পোড়ানো হয়। প্রশ্ন ওঠে কেন বাড়ির লোক এমন কাজ করল? সেই উত্তর খুঁজতে গিয়েই বোঝা যায়, এই শিঁকড় অনেক দূর চলে গিয়েছে।
ঘটনায় তৃণমূল নেতার ছেলের নাম
ঘটনাক্রম খুঁজতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগের পাহাড় নজরে আসে। জানা যায়, ওই কিশোরীকে জন্মদিনের পার্টিতে ধর্ষণ করা হয়। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এক তরুণী এসে তাকে বাড়িতে দিয়ে যায়। রাতেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই রাতেই কাউকে কিছু না জানিয়ে মেয়েটির বাড়ির লোকের উপর চাপ দিয়ে দেহ দাহ করা হয়। কে চাপ দিয়েছিল সেদিন? উত্তর খুঁজতে নেমে জানা যায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের নাম। তিনি ও তাঁর বন্ধুরা সেদিন ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ পার করে সমস্ত ঘটনা সামনে আসে।