DA Protest: ডিএ না দিলে পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ রাখুক, এবার হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মীদের
DA: ২৮টি সরকারি সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে তৈরি হয় এই মঞ্চ। তবে এখন তাতে আরও সংগঠন এগিয়ে এসেছে।
কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা মঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদে নেমেছেন। আদালতের নির্দেশের পরও রাজ্য কেন মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, টাকা দিতে না পারলে, পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ রাখুক সরকার। তাঁরা অসহযোগিতারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইতিমধ্যেই। ডিএ-র দাবিতে ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-এর ধরনা ১৯০ ঘণ্টা পার করেছে। তাদের দাবি, বকেয়া না পেলে তারা ভোটের কাজ করবে না। আর সরকারি কর্মীরা যদি ভোটের কাজ না করেন, তা হলে এত বড় ভোট প্রক্রিয়া হবে কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
২৮টি সরকারি সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে তৈরি হয় এই মঞ্চ। তবে এখন তাতে আরও সংগঠন এগিয়ে এসেছে। ধরনামঞ্চে অবস্থানকারী এক সরকারি কর্মী অনিমেশ হালদারের কথায়, “এই ভোট প্রক্রিয়া হয় সরকারি কর্মী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে। ফলে তাঁরা যদি পাহাড়প্রমাণ বঞ্চনার শিকার হন, তাঁরা বঞ্চিত হয়ে পথে বসে থাকেন, তাহলে সামনে তো পঞ্চায়েত ভোট, তা কে পরিচালনা করবেন? আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। এটা চূড়ান্ত একটা জায়গা। হয় কর্মচারিদের হকের পাওনা মিটিয়ে দিক। না হলে ভোট বন্ধ রাখুক।”
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ নামে সরকারি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “আমাদের বলছে, আমরা নাকি রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলছি। এটা আমাদের অপমান করা হচ্ছে। আমরা দলীয় রাজনীতি করছি না। হ্যাঁ, সরকারের বিরুদ্ধে বলাটা রাজনীতি বললে বলতে পারেন।”
এই ধরনামঞ্চ নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদও। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “যে আন্দোলন কর্মচারিরা করছেন, সেটা তাঁদের হকের ব্যাপার। ডিএ পাওয়া যে অধিকার তা তো হাইকোর্টও বলেছে। রাজ্য বলছে ওদের কোনও বকেয়া নেই। আবার ওরাই বলছে এত দিলে সরকার সঙ্কটে পড়বে। সরকার নিজের অক্ষমতা দেখাচ্ছে, কর্মচারিদের প্রাপ্য দিচ্ছে না। তাই সরকারি কর্মচারিরা বিরোধিতায় নামছে। আমরা সবরকম গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন করি।”
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, আন্দোলন করলেই ডিএ দেওয়া যাবে না। সরকারের আর্থিক সংস্থানও থাকতে হবে। আর কাজ বন্ধ করলেই হয় না। আইন আছে, সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া যায়। সরকারকে পঞ্চায়েত ভোট করতেই হবে। আর হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে সৌগত রায়ের বক্তব্য, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে।