Egra Blast: এগরাকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১২, এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ২ জনেরই মৃত্যু
Egra: এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয় গত মঙ্গলবার। ভয়াবহ ছিল সেই বিস্ফোরণের তীব্রতা। গ্রামের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় দেহ। ঘটনাস্থলের ছবি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্টও।
কলকাতা: এগরাকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দু’জন। দু’জনেরই মৃত্যু হল। শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান রবীন্দ্র মাইতি। এগরা বাজিকাণ্ডে শনিবার এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন দ্বিতীয় রোগীরও মৃত্যু হয়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় খাদিকুলের পিঙ্কি মাইতির। গত ১৬ মে ঘটনার দিন ৯ জন মারা গিয়েছিলেন। শুক্রবার অর্থাৎ ১৯ মে ওড়িশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ। এরপর শুক্রবার রাতে মারা যান রবীন্দ্র মাইতি। শনিবার মারা গেলেন পিঙ্কি। এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজির কারখানা।
সেই কারখানায় গত মঙ্গলবার বিস্ফোরণটি হয়। এই বাজি কারখানার মালিক ছিলেন ভানু বাগ। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এই কারখানা চালাতেন তিনি। এর আগেও সেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ভানুর দাদা ও বৌদি মারাও যান সেই বিস্ফোরণে। তবে এবারের বিস্ফোরণের ভয়াবহতা অনেক বেশি। প্রাণহানিও অনেক। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এনআইএ-র দাবি তুলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, “এনআইএ তদন্ত করে বিচার হলে হোক, আমাদের আপত্তি নেই। তবে আসল ব্যক্তি যেন ধরা পড়েন।” বাজি কারখানার মালিকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। যদিও সেই মালিক ভানু বাগ শুক্রবারই মারা গিয়েছেন।
ইতিমধ্যে সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করছে। ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টও। অন্যদিকে এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে সরিয়ে সেখানে আনা হয়েছে স্বপন গোস্বামীকে। এর আগেও এই থানায় কাজ করেছেন স্বপন গোস্বামী। এতদিন তিনি হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় আইসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এবার এগরা থানায়।