Baisakhi-Sovon: ‘আমার এমন কোনও আবদার নেই যেটা ও মেটায়নি, একটা চাইলে তিনটে দেয়’, শোভনকে দরাজ সার্টিফিকেট বৈশাখীর

Baisakhi-Sovon: বৈশাখী অহেতুক পয়সা খরচের বিরুদ্ধে, কিন্তু শোভন বিশ্বাস করেন, শখ হলে আর পকেটে পয়সা থাকলে নিয়ে নাও।

Baisakhi-Sovon: ‘আমার এমন কোনও আবদার নেই যেটা ও মেটায়নি, একটা চাইলে তিনটে দেয়’, শোভনকে দরাজ সার্টিফিকেট বৈশাখীর
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2022 | 9:49 PM

কলকাতা: ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে একান্ত আড্ডায় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের প্রথম পুজো থেকে শুরু করে কে কতটা রোমান্টিক, খোলামেলা আড্ডায় জানালেন দু’জনই। বৈশাখী জানালেন, তিনি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করেন। তাঁর কাছে শোভনের মতো মানুষ আছেন। বৈশাখীর কথায়, “আমাকে আমারই এক পরিচিত একদিন ফোন করে বলছেন, তাঁর মহিলা কলিগরা এখন একটাই কথা বলে, ‘আমাদের জীবনে একটা শোভন নেই কেন’? আমি বললাম, ভগবান যদি একজন শোভন তৈরি করেন, তা হলে সেটা আমার।” শোভনের দরাজ মনের প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে। শোভনের কাছে একটা চাইলে, তিনটে এনে দেন। বৈশাখী অহেতুক পয়সা খরচের বিরুদ্ধে, কিন্তু শোভন বিশ্বাস করেন, শখ হলে আর পকেটে পয়সা থাকলে নিয়ে নাও।

বৈশাখী শোভনের প্রথম পুজো

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টি খেতে খুব ভালবাসেন। শোভন-বৈশাখীর প্রথম পুজোও শুরু হয়েছিল মিষ্টিমুখ করেই। সেদিনের কথা মনে করে বৈশাখী বলেন, “শোভনদের একটা খাদ্যমেলা হতো পুজোয়। পুজোর আগে আমাদের অফিসে এসেছে একদিন। আমি ওকে বললাম, পুজো তো শুরু হয়ে গেছে। আপনি আমি দু’জনই ব্যস্ত হয়ে যাব, ক’দিন দেখা হবে না। ও বলল, তুমি কী করছ সন্ধ্যাবেলায়? আমি মেয়েকে নিয়ে বেরোই। জিজ্ঞাসা করল ষষ্ঠীর দুপুরে কী প্ল্যান? আমি বললাম, বাড়িতেই থাকি। ষষ্ঠীর সকালে হঠাৎ বলছে, ১২টার মধ্যে রেডি হয়ে যেও। সেই খাদ্যমেলায় নিয়ে গিয়ে যত মিষ্টির দোকান সেখান থেকে নিজেও খাচ্ছে, আমাকেও খাওয়াচ্ছে। তারপর ফুচকা খাইয়ে ষষ্ঠী ভাল করে শুরু করে বাড়ি পাঠিয়েছিল।”

শোভন কতটা রোম্যান্টিক?

প্রশ্ন শুনেই বৈশাখী জবাব, সেভাবে নম্বরে মাপা যাবে না। কারন, “নম্বর দিতে হলে নেগেটিভে চলে যাবে। যেমন, আমি খুব সুন্দর সেজে এসেছি, সকলে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছে, ও অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেই আমার মনে হয় কোনও ভাল রিমার্কস আসবে না। তারপরই বলবে, টিপটা বাঁকা, শাড়ির ভাজে দাগ। কারও চোখে পড়বে না, শোভনের চোখে ঠিক পড়বে। তবে রোম্যান্সটাকে যদি জীবনের একটা গভীর জায়গা থেকে দেখো সেটার শাশ্বত রূপের প্রতিমূর্তি শোভন। আমার এমন কোনও আবদার নেই যেটা মেটেনি। বরং আমি বাজে ভাবে প্যাম্পার্ড।”

‘ম্যাড ফর ইচ আদার’, বললেন বৈশাখী

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে শোভনকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “অনন্য। এটা ভাষায় ব্য়াখ্যা করা যায় না। আমি বিশ্বাস করি, মমতাদির অভিব্যক্তিও সেইভাবেই থাকে।” আর বৈশাখীর সঙ্গে সম্পর্ক। শোভনের কথায়, ‘মেড ফর ইচ আদার’। একই প্রশ্ন বৈশাখীর কাছে করা হলে তিনি বলেন, “আমাদের একটা খুব পার্সোনাল চ্যাট এখানে তুলে ধরছি। ও যদি মেড ফর ইচ আদার লিখত। আমি লিখতাম ম্যাড ফর ইচ আদার। এটা হচ্ছে আমাদের দু’জনের রসায়ন। আমাদের দু’জনের একে অপরের প্রতি ভালবাসাও যেমন আছে, তেমন উন্মাদনাও আছে। সময় অনেক কিছু ফিকে করে দেয়। আমাদের ক্ষেত্রে গাঢ় হয়েছে। যত বিরুদ্ধ পরিবেশ পেয়েছি আমরা, যত বেশি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছি, কারও দ্বারা বিদ্ধ হয়েছি, ও তত শক্ত করে হাতটা ধরেছে। সেটাই সব থেকে বড় প্রাপ্তি।”