AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SLST: ‘সন্তান নিইনি, কী খাওয়াব ওকে?’, বহু যন্ত্রণা বুকে নিয়েই ৭০০ দিন ধরে ধরনাতলায় আসেন ওঁরা…

Recruitment Scam: এসএলএসটির চাকরি প্রার্থীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন ডিএর দাবিতে কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচে বসে থাকা সরকারি কর্মীদের 'সংগ্রামী যৌথমঞ্চ'।

SLST: 'সন্তান নিইনি, কী খাওয়াব ওকে?', বহু যন্ত্রণা বুকে নিয়েই ৭০০ দিন ধরে ধরনাতলায় আসেন ওঁরা...
চম্পাহাটির দেবনাথ নস্কর।
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2023 | 7:52 PM
Share

কলকাতা: ৭০০ দিন হয়ে গেল ধর্মতলায় ধরনার (SLST)। এসএলএসটির নবম-দ্বাদশের চাকরির দাবিতে টানা এতগুলো মাস ধরে অবস্থানে চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, তাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু টাকার বদলে চাকরি চাননি বলেই নিয়োগও পাননি। যদিও আদালতের নির্দেশে নতুন করে বুক বেঁধেছেন তাঁরা। তবে একইসঙ্গে রয়েছে আশঙ্কাও। যদি শেষমেশ অঙ্ক না মেলে, ভাগশেষ পড়ে থাকে। তবে ৭০০ দিন ধরে নিজেদের অবস্থান থেকে সরেননি তাঁরা। বলছেন, এখান থেকে সেদিনই উঠবেন, যেদিন পাকাপাকিভাবে স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এই চাকরি প্রার্থীদের ৭০০ দিনের লড়াইয়ের আড়ালে রয়েছে এমন কিছু লড়াই যা হয়ত অদেখা। তবে সামনে এলে চোখ ছলছল করবে যে কারও। এরকমই একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটির দেবনাথ নস্কর। তাঁর পা ভাঙা। স্ত্রী ধরে ধরে নিয়ে আসেন ধর্মতলায়। বাড়িতে বছর সত্তরের বাবা রয়েছেন। বাবার আবার ক্যানসার, লাস্ট স্টেজ!

দেবনাথের কথায়, “বাবার অবস্থা খুবই খারাপ। ক্যানসারের চতুর্থ স্টেজ। ফুসফুসে কর্কট রোগ। যেকোনও সময় চলে যাবেন। আমার চিকিৎসা করানোরও টাকা নেই। আমার কোনও আয় নেই। বাবাকে হয়ত বাঁচাতে পারব না। কিন্তু চাকরিটা থাকলে চিকিৎসা করাতে পারতাম।” দেবনাথের আক্ষেপ, “এই লড়াই কতদিনের জানি না। সন্তান নিইনি। খালি ভাবি, কী খাওয়াব ওকে? বাবারও এই অবস্থা। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে আমাদের যে বেঁচে থাকাই দুষ্কর হয়ে যাবে।”

এসএলএসটির চাকরি প্রার্থীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন ডিএর দাবিতে কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচে বসে থাকা সরকারি কর্মীদের ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চ’। রবিবার এসএলএসটিদের ধরনামঞ্চে আসে তারা। তাদের বক্তব্য, ৭০০ দিন ধরে চাকরির জন্য পথে বসে আছে ছেলেমেয়েরা। এটা লজ্জার। যোগ্যরা পথে বসে আর অযোগ্যরা নিয়োগ পেয়ে গেল কীভাবে এটাই তো ভাবা যায় না। একসময় বাংলা শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা নিত। আর সেই বাংলায় এখন যোগ্যতা প্রমাণ করতে আদালতে ছুটতে হয়।