উত্তর ২৪ পরগনা: এমনিতেই সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমে বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূল। দলের ভিতরেও অহরহ দলাদলির অভিযোগ উঠছে। যা অস্বস্তিও বাড়াচ্ছে দলের অন্দরে। কিছুদিন আগেই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে ছুটেছিল একের পর মদন-বাণ। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের এ হেন আচরণে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সতর্কও করেছিল। বৃহস্পতিবার আরও একবার মদনের মুখে বিস্ফোরক বক্তব্য। এবারও নিশানায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গে কুণাল ঘোষ। এদিন কামারহাটিতে একটি থানার উদ্বোধনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মদন মিত্র বলেন, “কুণাল, পার্থ প্রসঙ্গে বললে আমি না খেয়ে মরব। আমি একজন চুনোপুঁটি এমএলএ।”
এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মদন মিত্র বলেন, “আমার মুখ ও পাত্র কোনওটাই নেই। আমি একজন চুনোপুঁটি এমএলএ। এইসব হাইপ্রোফাইল লোকেদের বিষয়ে বলতে গেলে আমি বেচারা না খেয়ে মরব। আমাকেও কিছু মন্তব্যের কারণে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শোকজ করেছিল। আমি তিন পাতার চিঠিতে জবাব দিয়েছি। দলে থাকলে দলের নিয়ম পালন করতে হবে। একইসঙ্গে মদন মিত্রের সংযোজন, “বাবার টাকায় খাব, এমএলএ হব, আর বাবার কথা শুনব না তাই কখনও হয়। কুণাল যা বলছে হয়ত পার্টির মধ্যে কথা বলেই বলছে।”
একইসঙ্গে এদিন মদন মিত্র বলেন, দলের মধ্যে কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ সতর্ক করার পরও যদি কেউ নিজেকে না বদলান তা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মদন মিত্রের হুঁশিয়ারি, “যারা ভালভাবে থাকতে চান, থাকুন। যারা এখনও গুন্ডামি করছেন, পুলিশ বলার পরও শুনছেন না, সেই গুন্ডাদের আমি বলছি, সৌগত রায়, আমি, তাপস একসঙ্গে সই করে নাম জমা করে দেব। কোনও গুন্ডা আমাদের কাছে এখানে কেউ থাকবে না। যে গুন্ডামি করবে তার বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়াবে।”